Advertisement
০২ মে ২০২৪
Pakistan General Election 2024

‘আমরাই জয়ী, সরকারও গড়ব’, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে পাক জনতার দরবারে জেলবন্দি ইমরান

প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ শুক্রবার দাবি করেছিলেন, পিএমএলএন সবচেয়ে বড় দল হিসাবে অলিখিত স্বীকৃতি পেয়ে গিয়েছে। তাই সমমনস্ক দলগুলির সঙ্গে জোট বেঁধে তাঁরা সরকার গড়বেন।

প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। — ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৯:২৩
Share: Save:

দু’দিন পেরিয়ে গেলেও ভোট গণনা শেষ হয়নি। এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক ভাবে ফল ঘোষণা করেনি পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন। এই পরিস্থিতিতে যুযুধান রাজনৈতিক শিবিরগুলিতে ‘তৎপরতা’ বাড়ছে। সেই সঙ্গে শুরু হয়েছে দাবি, পাল্টা দাবির পালা।

প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ শুক্রবার দাবি করেছিলেন, পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএলএন) নির্বাচনে সবচেয়ে বড় দল হিসাবে অলিখিত স্বীকৃতি পেয়ে গিয়েছে। তাই সমমনস্ক দলগুলির সঙ্গে জোট বেঁধে তাঁরা সরকার গড়ার তৎপরতা শুরু করবেন। কিন্তু শনিবার সেই দাবি উড়িয়ে ভোটে জয়ের দাবি করেছেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী তথা পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান।

দু’টি ফৌজদারি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত জেলবন্দি ইমরান সমাজমাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই বা আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স)-র সাহায্যে ‘বিজয়ভাষণ’ দিয়েছেন। তাতে তাঁর দাবি, ‘‘নওয়াজ শরিফের ‘লন্ডন পরিকল্পনা’ ব্যর্থ হয়েছে। পাকিস্তানের জনতা আমাদের বিপুল ভাবে সমর্থন করেছেন।’’ এর পরেই জনতার উদ্দেশে তাঁর আবেদন, ‘‘আপনার গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেছেন। এ বার তা রক্ষার দায় আপনাদেরই।’’ বিশ্বকাপ জয়ী প্রাক্তন পাক ক্রিকেট অধিনায়ক সরাসরি কিছু না বললেও তাঁর টিমের অভিযোগ, শেষ বেলায় পরিস্থিতি প্রতিকূল বুঝে শরিফ-সমর্থক পাক সেনা বেশ কিছু আসনে ভোটে ফল বদলে দিতে সক্রিয় হবে।

পাক ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে এখন মোট আসন ৩৩৬। কিন্তু তার মধ্যে সরাসরি ভোট হওয়ার কথা ছিল ২৬৬টি আসনে। কিন্তু এক প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে ২৬৫টি আসনে ভোট হয়েছে। বাকি ৭০টি আসন মহিলা এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষিত রয়েছে। এর মধ্যে মহিলাদের জন্য ৬০ এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য ১০টি আসন। পাক সংবিধান অনুযায়ী সরাসরি ভোটে যে দল যে সংখ্যক আসনে জয় পাবে, সেই অনুপাতে ওই সংরক্ষিত আসনগুলিতে প্রতিনিধি ঠিক করে দলগুলি। যদিও এই সংরক্ষিত আসনগুলির উপর সরকার গঠন নির্ভর করে না। সেই হিসাব হবে সংরক্ষিত বাদ দিয়ে ২৬৫টি আসনের মধ্যে। সেই অর্থে বর্তমান পরিস্থিতিতে ১৩৩ জন জয়ীর সমর্থন পেলেই পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ‘জাদু সংখ্যা’ ছোঁয়া সম্ভব হবে।

পাক নির্বাচন কমিশন ‘রাজনৈতিক দল’ হিসাবে পিটিআই-এর স্বীকৃতি বাতিল করায় তারা সরাসরি ভোটের ময়দানে নেই। কিন্তু ইমরানের দলের অনেক নেতাই ‘নির্দল’ হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ফল বলছে, এখনও পর্যন্ত ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে জয়ী প্রার্থীদের মধ্যে নির্দলেরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। ফলে সে দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী পদে ইমরান অনুগামী কোনও নির্দল নেতাকে দেখা যেতে পারে বলেও জল্পনা রয়েছে। তবে এরই মধ্যে ইমরানকে ঠেকাতে আবার প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)-র সঙ্গে নওয়াজ যোগাযোগ শুরু করেছেন বলে পাক সংবাদমাধ্যমের ‘খবর’। শনিবার পিপিপি প্রধান আসিফ আলি জারদারি এবং তাঁর পুত্র বিলাবল ভুট্টো জারদারি পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করার জন্য দলের কার্যনির্বাহী সমিতির বৈঠক ডেকেছেন।

শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, পিটিআই ৯১, পিএমএলএন ৭১, পিপিপি ৫২, জামাত ২ এবং অন্যান্যরা ৩৩টি আসনে এগিয়ে আছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE