ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর বাগ্যুদ্ধ চরমে পৌঁছেছে। একে অপরের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে গিয়ে ব্যক্তিগতও আক্রমণও করে ফেলেছেন তাঁরা। এই আবহে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে জব্দ করতে মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক রাজনীতির ময়দানে নামবেন কি না, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। জল্পনার সূত্রপাত ঘটিয়েছেন মাস্ক নিজেই। শনিবার নতুন রাজনৈতিক দলের নামও দিয়ে ফেলেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সমাজমাধ্যমে একটি ভোটের আয়োজন করেন মাস্ক। সেখানে তিনি প্রশ্ন রাখেন যে, আমেরিকায় একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের সময় হয়েছে কি না। মাস্কের এই প্রশ্নের উত্তরে ইতিবাচক উত্তর দেন ৮০ শতাংশ মানুষ। আর ভোটের সেই ফলাফল সম্বলিত পোস্ট শেয়ার করে মাস্ক লেখেন, ‘দ্য আমেরিকা পার্টি’। মাস্ক এই বিষয়ে আর কিছু খোলসা না-করলেও মনে করা হচ্ছে, নতুন দলের নামকরণ করেছেন তিনি।
অবশ্য সত্যিই মাস্ক রাজনীতিতে আসবেন, না কি সবটাই তাঁর চমক, তা নিয়ে সন্দিহান অনেকে। কারণ দীর্ঘ দিন ধরেই আমেরিকায় দ্বিদলীয় ব্যবস্থা রয়েছে। লড়াই হয় মূলত ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকানদের মধ্যে। এই পরিস্থিতিতে তৃতীয় পক্ষ হিসাবে ট্রাম্প কী ভাবে আমেরিকার রাজনৈতিক ব্যবস্থায় অংশ নেবেন, তা স্পষ্ট নয়। তবে দল গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ এবং পরিকাঠামোর অভাব যে তাঁর হবে না, সে কথা একবাক্যে স্বীকার করছেন অনেকেই।
বৃহস্পতিবার ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, মাস্ককে ছাড়াই তিনি আমেরিকার পেনসিলভেনিয়া প্রদেশে জয়ী হতে পারতেন। ট্রাম্পের ওই দাবি সম্বলিত ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই একটি পোস্ট করেন টেসলা এবং এক্স-এর কর্ণধার মাস্ক। সেখানে তিনি লেখেন, “আমার সাহায্য ছাড়া ট্রাম্প এই নির্বাচনে জিততে পারতেন না।” ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সুর আরও চড়িয়ে ‘বড় বোমা’ ফেলার হুঁশিয়ারিও দেন মাস্ক।