আমেরিকায় আবার একটি বিমান দুর্ঘটনা। তবে এ বার ওয়াশিংটন নয়, ঘটনাস্থল পেনসিলভেনিয়া প্রদেশের ফিলাডেলফিয়া শহর। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানটি আকারে ছোট। তাতে ছ’জন ছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। একাধিক মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে। ফিলাডেলফিয়ার বিমানবন্দর থেকে ওড়ার পরেই কিছু ক্ষণের মধ্যে মুখ থুবড়ে পড়ে বিমানটি। সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণ হয়। এর ফলে একাধিক বাড়ি এবং গাড়িতে আগুন ধরে গিয়েছে বলে খবর। উদ্ধারকাজ চলছে।
ফিলাডেলফিয়ার রোজ়ভেল্ট মলের সামনে শুক্রবার সন্ধ্যায় (স্থানীয় সময়) ছোট বিমানে দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে আমেরিকার ফেডেরাল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ)। তাদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত লিয়ারজেট ৫৫ বিমানটিতে দু’জন ছিলেন। উত্তর-পূর্ব ফিলাডেলফিয়া বিমানবন্দর থেকে রওনা দিয়েছিল ওই বিমান। গন্তব্য ছিল মিসৌরির স্প্রিংফিল্ড-ব্র্যানসন ন্যাশনাল বিমানবন্দর। তবে আমেরিকার পরিবহণ সচিব সিন ডাফি জানিয়েছেন, বিমানটিতে ছ’জন ছিলেন বলে তিনি জানতে পেরেছেন। এফএএ-র সঙ্গে আমেরিকার জাতীয় পরিবহণ সুরক্ষা বোর্ড (এনটিএসবি) যৌথ ভাবে এই ঘটনার তদন্ত করবে।
আরও পড়ুন:
জানা গিয়েছে, উত্তর-পূর্ব ফিলাডেলফিয়া বিমানবন্দরে মূলত বাণিজ্যিক জেট এবং চার্টার্ড বিমান ওঠানামা করে। সেখান থেকে ওড়ার পর পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে ভেঙে পড়েছে লিয়ারজেট ৫৫ বিমান। ফিলাডেলফিয়ার জরুরি বিভাগ এই দুর্ঘটনাকে ‘গুরুতর’ বলে উল্লেখ করেছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, বিমান ভেঙে পড়ার পর বিস্ফোরণে শহরের একাধিক বাড়িতে আগুন ধরে গিয়েছে। জ্বলে গিয়েছে বেশ কয়েকটি গাড়ি। শহরে সেই সময়ে বৃষ্টি পড়ছিল। সেই কারণে দৃশ্যমানতা কম ছিল বলে বিমানের সমস্যা হয়ে থাকতে পারে।
বুধবারই ওয়াশিংটনে বড় বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে। হোয়াইট হাউস থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরত্বে যাত্রিবাহী বিমান আমেরিকার সেনা চপারের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ভেঙে পড়েছে পটোম্যার নদীতে। বিমান এবং চপার মিলিয়ে ৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে সেই ঘটনায়। কাউকেই জীবিত উদ্ধার করা যায়নি। তার দু’দিনের মধ্যে আবার বিমান দুর্ঘটনা। ফিলাডেলফিয়ার ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি লিখেছেন, ‘‘ফিলাডেলফিয়ায় বিমান ভেঙে পড়ার ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। আরও কত নিষ্পাপ প্রাণ চলে গেল। আমাদের কর্মীরা উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন। ঈশ্বর সকলের মঙ্গল করুন।’’