কেবল জুলাই আর অগস্ট মাসেই বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হয়েছেন ১১,৩৪৮ জন। সম্প্রতি এমনই তথ্য সামনে এনেছে সে দেশে মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা ‘মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন’। ওই সংস্থাকে উদ্ধৃত করে বাংলাদেশের সংবাদপত্র ‘দ্য ডেলি স্টার’ জানিয়েছে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং দেশত্যাগের পর সম্পত্তি ভাঙচুরের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে বাংলাদেশে।
একাধিক সাক্ষাৎকার, আলোচনা এবং ১২,৪৩৪ জন মানুষের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে এই তথ্য জানা গিয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। গত ১ জুলাই থেকে ৫ অগস্ট পর্যন্ত যত অভিযোগ দায়ের হয়েছে, সেগুলির মধ্যে ৭৫ শতাংশই মারধর সংক্রান্ত। খুন সংক্রান্ত অভিযোগ জমা পড়েছে ৮ শতাংশ।
কেবল জুলাই-অগস্ট মাসেই বাংলাদেশে ৮৮১ জন খুন হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টটিতে। এই ৮৮১ জনের মধ্যে ৭৬৩ জনকে গুলি করে খুন করা হয়েছে, ৬৯ জনকে জীবন্ত পুড়়িয়ে দেওয়া হয়েছে আর ৪৫ জনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ২৯ শতাংশ হত্যার ঘটনা ঘটেছে ঢাকা ডিভিশনে। ২০ শতাংশ হত্যার ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রামে আর ১১ শতাংশ এবং ১০ শতাংশ ঘটেছে যথাক্রমে ময়ময়সিংহ এবং বরিশাল ডিভিশনে।
আরও পড়ুন:
রিপোর্ট অনুসারে, ওই সময়ের মধ্যে যাঁরা খুন হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৫৬৮ জন পড়ুয়া, ১৬৪ জন বিভিন্ন দলের কর্মী, ৮৫ জন রাস্তার ধারের দোকানদার, ২৩ জন বেসরকারি সংস্থার কর্মী আর ন’জন শিক্ষক। আহতদের সংখ্যাও ঢাকা ডিভিশনে সবচেয়ে বেশি। বহু নিহত ব্যক্তির পরিবার ভয়ে পুলিশ কিংবা আদালতের দ্বারস্থ হননি বলে দাবি করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।