এ যেন সর্ষের মধ্যেই ভূত! পহেলগামে জঙ্গি হামলার ঠিক পরেই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে ভারতের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ বার সেই ট্রাম্পের উপদেষ্টা বোর্ডে নাম উঠল দুই প্রাক্তন জঙ্গির। ইসমাইল রোয়ার এবং শেখ হামজ়া ইউসুফ। হোয়াইট হাউস সূত্রের খবর, তাদের ধর্মীয় এবং জনপ্রতিনিধিত্ব মূলক পদে রাখা হয়েছে।
লারা লুমার নামে এক আমেরিকান সাংবাদিক আজ এক্স হ্যান্ডলে দাবি করেছেন, দু’জনের সঙ্গেই আমেরিকার নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের তালিকাভুক্ত লস্কর-ই-তইবার সরাসরি যোগ ছিল। যোগ ছিল আল কায়দা ও হামাসেরও। ১৯৯২ সালে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে র্যান্ডেল টড রোয়ার নতুন নাম নিয়েছিল ইসমাইল। ২০০০ সালে পাকিস্তানে লস্কর শিবিরে
প্রশিক্ষণ নেয় সে। ভারতের মাটিতে, বিশেষ করে কাশ্মীরে একাধিক হামলায় তার নাম জড়িয়েছে। বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিস্ফোরক রাখা ও সন্ত্রাসবাদী কাজ যুক্ত থাকার অভিযোগে ২০০৪ সালে আমেরিকার আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয় রোয়ার। ২০ বছর কারাদণ্ড হয়। তবে ১৩ বছর পরে ২০১৭ সালে জেল থেকে ছাড়া পায় সে।
যদিও হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসলাম এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত কার্যকরী দলের ডিরেক্টর হিসেবে রোয়ার কাজ করছে। ওই বিবৃতি অনুযায়ী, ১৯৯২ সালে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর রোয়ার ঐতিহ্যবাহী ইসলামি পড়াশোনার পাশাপাশি ধর্ম ও বিজ্ঞান নিয়েও জ্ঞান লাভ করে। শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী ইসলামি সংগঠনের সঙ্গে কাজ করেছে সে।
লারার দাবি, জ়ায়তুনা কলেজের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ইউসুফেরও জঙ্গি যোগের ইতিহাস রয়েছে। হামাসের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে অবশ্য ইউসুফের পরিচয় শুধুমাত্র আমেরিকার প্রথম মুসলিম উদারপন্থী শিল্প-কলা সংক্রান্ত কলেজ জ়ায়তুনার সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং শিক্ষাবিদ হিসেবে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)