এভারেস্টের সামনে মিনবাহাদুর শেরচান। ছবি: সংগৃহীত।
এক দশক আগেকার পুরনো গৌরব ফিরে পেতে চান ৮৫ বছরের বৃদ্ধ। এই বয়সেই এভারেস্টের চুড়োয় উঠতে চান মিনবাহাদুর শেরচান। এক দশক আগে দুনিয়ার বয়স্কতম হিসাবে এভারেস্ট জয়ের রেকর্ড করেছিলেন তিনি। কিন্তু, বছর পাঁচেক পরেই তা হাতছাড়া হয়ে যায়। ফের সেই রেকর্ড উদ্ধারে তোড়জোড় শুরু করেছেন নেপাল সেনাবাহিনীর এই প্রাক্তন গোর্খা। যে বয়সে অনেকেই ঘরের আরামে বসে সময় কাটান সে বয়সেই নতুন উদ্যমে তেড়েফুঁড়ে উঠেছেন শেরচান।
গত ২০০৮-এ মাউন্ট এভারেস্ট অভিযানে শেরচানের সঙ্গে ছিলেন জাপানের ইউশিরো মিউরা। সে সময় ৭৬ বছরের শেরচানের সঙ্গে মিউরাও শৃঙ্গ জয় করেন। তবে মিউরার থেকে বয়স বেশি হওয়ায় তখনকার মতো সে রেকর্ড লেখা হয় শেরচানের নামে। এর পর ২০১৩-তে ফের এভারেস্ট শৃঙ্গ জয় করেন ৮০ বছরের মিউরা। দুনিয়ার সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি হিসাবে রেকর্ডের দখল আপাতত রয়েছে মিউরার নামেই। এ বার তাতেই নিজের নাম লেখাতে চান শেরচান।
কীসের টানে ফের মাউন্ড এভারেস্টে পা রাখতে চান শেরচান?
ওই বৃদ্ধ বলেন, “কারও রেকর্ড ভাঙা আমার লক্ষ্য নয়। কেননা, কারও সঙ্গে ব্যক্তিগত প্রতিযোগিতায় নেমে এই রেকর্ড গড়তে চাই না। নিজের রেকর্ড নিজেই ভাঙতে চাই আমি।”
আরও পড়ুন
ধর্মবিরোধী, তাই পাকিস্তানে নিষিদ্ধ হল ভ্যালেন্টাইন্স ডে
কিশোর বয়সে নেপালের সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন শেরচান। বছর পাঁচেক সেখানে কাটিয়ে অবসর নেন তিনি। নিজেই জানালেন, রেকর্ড গড়ার জন্য এর আগেও দু’বার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। ২০১৩-তে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে দেরি হওয়ায় সময়মতো অভিযান শুরু করতে পারেননি তিনি। এর পর ২০১৫-তে ফের অভিযানের প্রস্তুতি নিয়ে নেপালের বিধ্বংসী ভূমিকম্পের জন্য পিছিয়ে আসতে হয় তাঁকে। তবে শেরচান বলেন, “এ ধরনের বাধাবিপত্তিতে আমি হতাশ হয়নি। বরং আর বদ্ধপরিকর হয়ে উঠি আমি।” তিনি আরও বলেন, “এই বয়সে এভারেস্ট জয় করে নিজের সঙ্গে সঙ্গে বয়স্কদের আত্মবিশ্বাসও বাড়াতে চাই।” পাশাপাশি, নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করা ছাড়াও নেপালি হিসাবে নিজের অস্তিত্বকেও প্রতিষ্ঠা করতে চান তিনি।
আরও পড়ুন
হিন্দু জনসংখ্যা কমছে ভারতে, টুইট রিজিজুর, তীব্র বিতর্ক দেশ জুড়ে
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy