Advertisement
২৭ জুলাই ২০২৪
Russia Ukraine War

ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র হানায় রাশিয়ায় নিহত ১৫

ইউক্রেনের এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কড়া নিন্দা করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পুতিনের বক্তব্য, গত রাত থেকে ইউক্রেনের বাহিনী জনবসতির উপরে যে হামলা শুরু করেছে, তা ‘বর্বরোচিত’।

রুশ আক্রমণের জেরে ঘর ছেড়ে ঠাঁই হয়েছে শরণার্থী শিবিরে। সঙ্গী আদরের পোষ্য। ইউক্রেনের খারকিভে।

রুশ আক্রমণের জেরে ঘর ছেড়ে ঠাঁই হয়েছে শরণার্থী শিবিরে। সঙ্গী আদরের পোষ্য। ইউক্রেনের খারকিভে। ছবি: রয়টার্স।

সংবাদ সংস্থা
মস্কো শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০২৪ ০৭:২৬
Share: Save:

ইউক্রেনীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় রাশিয়ায় মৃত্যু হল অন্তত ১৫ জন নাগরিকের। আহতের সংখ্যা কমপক্ষে ২৭। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে আজ জানানো হয়েছে, গত কাল রাত থেকেই বেলগরদ শহর আর তার পার্শ্ববর্তী এলাকা লক্ষ্য করে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইউক্রেনের সেনা। রুশ সামরিক অফিসারেরা জানাচ্ছেন, ইউক্রেনীয় বাহিনীর ছোড়া সোভিয়েট আমলের অন্তত ১২টি ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে নামানো হয়েছে। তার মধ্যেই একটি ক্ষেপণাস্ত্রের টুকরো আছড়ে পড়ে শহরাঞ্চলেরএকটি ১০তলা আবাসনের একাংশে। সেই অংশটি ভেঙে পড়েই ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। বহুতলের ধ্বংসস্তূপে এখনও কিছু বাসিন্দা আটকে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা। মস্কো এই হামলাকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ হামলা আখ্যা দিয়েছে।

বেলগরদে এর আগে এত বড় হামলা হয়নি। বেলগরদ প্রদেশের গভর্নর ভেয়াচেসলাভ গ্লাদকভ জানাচ্ছেন, ওই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ছাড়াও গত কাল তাঁর প্রদেশে ইউক্রেনীয় বাহিনীর পৃথক এক হামলায় আরও চার রুশ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে।

ইউক্রেনের এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কড়া নিন্দা করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পুতিনের বক্তব্য, গত রাত থেকে ইউক্রেনের বাহিনী জনবসতির উপরে যে হামলা শুরু করেছে, তা ‘বর্বরোচিত’। যুদ্ধ শুরুর সময় থেকেই রাশিয়া এবং ইউক্রেনের সেনাবাহিনী দাবি করে এসেছে, জনবসতি এলাকায় তারা হামলা চালাচ্ছে না। অথচ গত কয়েক বছরে দু’দেশের সামরিক দ্বন্দ্বে কয়েক লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ ঘর-ছাড়া। ইউক্রেনের তরফেই হতাহতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তছনছ হয়ে গিয়েছে ইউক্রেনের অজস্র ছবির মতো সাজানো শহর। বেলগরদের হামলার উপযুক্ত জবাব ইউক্রেনকে দেওয়া হবে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে মস্কো।

তবে বেলগরদে গত কাল রাতের হামলা নিয়ে নীরব ভলোদিমির জ়েলেনস্কির দেশ। সরকারি ভাবে এই হামলার দায় স্বীকার করেনি কিভ। তবে রুশ বাহিনী অতি সম্প্রতি স্থলপথে ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বের খারকিভ এলাকা দখলের লক্ষ্যে এগোতে শুরু করায় চাপে জ়েলেনস্কি। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দাবি, এর মধ্যেই খারকিভ এলাকার মোট ৯টি গ্রাম তারা নিজেদের দখলে নিয়েছে।খারকিভে কৌশলগত দিক থেকে তাদের বাহিনী যথেষ্ট এগিয়ে রয়েছে বলেও জানিয়েছে রাশিয়া।

এর মধ্যেই স্থানীয় কিছু রুশ সংবাদমাধ্যমের দাবি, খারকিভের প্রত্যন্ত এলাকায় প্রেসিডেন্ট জ়েলেনস্কির প্রতি ক্ষুব্ধ তাঁর নিজের দেশের বাহিনীরই একাংশ। গত কয়েক দিনে স্থলপথে রুশ বাহিনীর আগ্রাসনের মুখে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে কার্যত অসহায় ভাবে আত্মসমর্পণ করতে হচ্ছে বহু এলাকায়। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক অবশ্য মুখে বলছে, খারকিভে রুশ বাহিনীকে প্রতিরোধ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তাদের বাহিনী। একটি টেলিগ্রাম বার্তায় ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর প্রচেষ্টাকে কুর্নিশ জানিয়েছে জ়েলেনস্কি সরকার। তবে খুব দ্রুত খারকিভের পরিস্থিতি পাল্টাচ্ছে বলে মেনে নিয়েছে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। জরুরি ভিত্তিতে ওই এলাকায় নতুন বাহিনী পাঠানোর কাজও শুরু করেছে ইউক্রেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE