মায়ানমারের গণতন্ত্রকামী নেত্রী আউং সান সু চি-কে। ফাইল চিত্র।
দু’টি দুর্নীতি মামলায় আরও তিন বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হল মায়ানমারের গণতন্ত্রকামী নেত্রী আউং সান সু চি-কে। ৭৭ বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী সু চি-কে এর আগে ২৩ বছরের কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে মায়ানমারের সেনা আদালত। আজ সেনা আদালত দু’টি ভিন্ন দুর্নীতি মামলায় সু চি-কে তিন বছর করে কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে। কিন্তু আদালত জানিয়েছে, ওই সাজা একই সঙ্গে কার্যকর করা হবে। অর্থাৎ আপাতত সু চি-কে মোট ২৬ বছর কারাগারে বন্দি থাকতে হবে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মায়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকেই গৃহবন্দি করা হয়েছিল সু চি-কে। নিজের বাসভবন নয়, কোনও অজ্ঞাত স্থানে রাখা হয় তাঁকে। সু চি-র আইনজীবীরা বারবার অভিযোগ করেছেন যে, তাঁদের সঙ্গে তাঁদের মক্কেলের ঠিক মতো দেখা পর্যন্ত করতে দেওয়া হয় না। সু চি-র বিরুদ্ধে মোট ১২টি দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিল জুন্টা সরকার। যার মধ্যে ঘুষ নেওয়া থেকে শুরু করে ২০২০ সালের নভেম্বরের নির্বাচনে করোনা বিধি লঙ্ঘনের মতো অভিযোগ রয়েছে। গত কয়েকটি মামলায় অবৈধ ভাবে দেশে ওয়াকি-টকি আনানো, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা আইন লঙ্ঘনের মতো অভিযোগ আনা হয়েছিল সু চি-র বিরুদ্ধে। যাতে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং ২৩ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগই বরাবর অস্বীকার করে এসেছেন সু চি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy