এমনই ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে তাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাঙ্ককে। সেখানকার একটি বেসরকারি অফিসের কর্মী বছর পঁয়তাল্লিশের তারদসক কেওয়াপংপন-এর যৌনাঙ্গে কামড়ে দেয় ওই অজগর। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর যৌনাঙ্গে ১৫টি সেলাই পড়েছে। এখনও আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতে পারেননি তিনি।
আরওে পডু়ন: বছরের কোন সময় পর্ন সাইটে আগ্রহ কমে ভারতীয়দের
অন্যদিকে কেওয়াপংপনের সহকর্মীরা তখনও অজগরকে বাগে আনার চেষ্টায়। অনেক চেষ্টা-চরিত্র করার পর কমোড থেকে বের করা যায় তাকে। তার পর একটি লাঠি এগিয়ে দিতেই অজগর পেঁচিয়ে ধরে সেই লাঠি। ওই ভাবেই তাকে বাইরে বার করে আনলেন কর্মীরা। পরে বন দফতরে খবর পাঠানো হলে তারা এসে অজগরটিকে নিয়ে যায়।
আরও পডু়ন: বিয়ে করতে ইতালি যাওয়ার আগে কী বললেন দীপিকা?
কেওয়াপংপন পরে বলেন, ‘‘যৌনাঙ্গ কামড়ে ধরা সাপটি ছাড়িয়ে নেওয়ার পর রক্তে ভেসে যায় গোটা বাথরুম। কোনওরকমে যে দরজাটা খুলে দিতে পেরেছিলাম, তাই প্রাণে বেঁচে গিয়েছি। না হলে যে কী হত, ভাবতেই এখনও গায়ে কাঁটা দিচ্ছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মাস দুয়েক আগেও কমোডে সাপ দেখেছিলাম। বিষয়টি বস-সহ অফিসের সবাইকেই জানাই। কিন্তু সবাই আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করত। বাধ্য হয়ে অন্য বাথরুম ব্যবহার করতে শুরু করি। কিন্তু দুটো বাথরুমই যে পাইপলাইনে যুক্ত ছিল। তা ভাবিনি।’
বন দফতরের কর্মীদের প্রাথমিক অনুমান, খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে চলে আসে সাপটি। কোনওভাবে সে কমোডে ঢুকে পড়ে। সেখান থেকে হয়তো আর বেরোতে পারেনি। পাইপ লাইনের ভিতরেই আটকে ছিল মাস দুয়েক। ফলে প্রচণ্ড ক্ষুধার্ত ছিল। সেই কারণেই ওই ঘটনা ঘটেছে।