তাঁকে ফেরত চেয়ে আট মাস আগে ভারতকে চিঠি পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার বিষয়ে নয়াদিল্লি ‘ইতিবাচক উত্তর’ দেয়নি বলে সোমবার জানালেন মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের বিদেশ উপদেষ্টা মহম্মদ তৌহিদ হোসেন।
বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’য় প্রকাশিত খবর জানাচ্ছে, গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির আগে সোমবার ঢাকায় তৌহিদ সাংবাদিক বৈঠক করেন। ভারত থেকে হাসিনাকে ফেরত আনা এবং বিচার করার সম্ভাবনা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘‘এ নিয়ে নতুন কোনো তথ্য নেই। বিচারের সম্মুখীন করতে বাংলাদেশ ভারতের কাছে শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়েছে। ভারত থেকে কোনও ইতিবাচক উত্তর আসেনি। বাংলাদেশ অপেক্ষা করছে। ইতিমধ্যে হাসিনার বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কেউ আসুক আর না আসুক, তার জন্য তো বিচার আটকে থাকে না।’’
আরও পড়ুন:
গত বছরের জুলাইয়ের গোড়ায় শুরু হওয়া কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং তার পরবর্তী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও রক্তাক্ত গণঅভ্যুত্থানের জেরে ৫ অগস্ট বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের সরকারের পতন হয়। বাংলাদেশ ছেড়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা। সেই থেকে তিনি ভারতেই রয়েছেন। গত ডিসেম্বরে অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে ভারতকে চিঠি দিয়ে হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হয়েছিল। প্রসঙ্গত, হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রুজু হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সাইদুর রহমানের খুনের ঘটনায় বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা-সহ ১৪৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়ার পর থেকে সে দেশের বিভিন্ন থানায় অন্তত ২৩৩টি ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এর মধ্যে ১৯৮টি ক্ষেত্রে খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে। হাসিনা-সহ ১৪৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করেছে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল। রবিবার হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই অভ্যুত্থানের সময় সংগঠিত মানবতা-বিরোধী অপরাধ মামলায় প্রথম সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে।