বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম অধ্যায় শেষ হয়েছে। এ বার দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হল। শনিবার বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠকে এ কথা জানিয়েছেন সে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। গত বছরের ৫ অগস্ট বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারের পতন হয়। তার পর থেকে ছ’মাসেরও বেশি সময় অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ আর কত দিন থাকবে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সে দেশের অন্দরেই। উঠছে দ্রুত নির্বাচনের দাবি। এই আবহে শনিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন বৈঠকে বসে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে। ওই বৈঠকে এই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন ইউনূস।
বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’য় প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে, সে দেশের ২৬টি রাজনৈতিক দল ওই বৈঠকে যোগ দেয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন খালেদা জিয়ার দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ‘প্রথম আলো’র প্রতিবেদন অনুসারে, বৈঠকের একটি পর্যায়ে ইউনূস বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের ছ’মাসে প্রথম ইনিংস বা প্রথম অধ্যায় শেষ হয়েছে। আজ রাজনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হল।” বাংলাদেশের সরকারি সংবাদ সংস্থা ‘বাসস’ জানিয়েছে, গত বছরের জুলাই গণআন্দোলনের কথাও উঠে এসেছে বৈঠকে। সেই ‘আত্মত্যাগ’ পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব আলমগীর জানান, দ্রুত নির্বাচনের বিষয়ে তাঁরা আশাবাদী। তিনি বলেন, “আমাদের আশা, খুব দ্রুত সংস্কারের বিষয়ে ন্যূনতম ঐকমত্য তৈরি হবে। তার ভিত্তিতে অতি দ্রুত জাতীয় নির্বাচন হবে।” বিএনপির দাবি, আগে জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। তার পরে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে।
আরও পড়ুন:
বস্তুত, বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের দাবি দীর্ঘ দিন ধরেই উঠে আসছে। অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ কত দিন থাকবে, তা নিয়েও প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে ইউনূস প্রশাসনকে। এই পরিস্থিতিতে ‘দ্বিতীয় অধ্যায়’ শুরুর কথা বললেন ইউনূস। যদিও অন্তর্বর্তী সরকার আগেও জানিয়েছে, তারা নির্বাচনের আগে প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলি সেরে ফেলতে চাইছে। এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে ইউনূস জানিয়েছিলেন, ২০২৫ সালের শেষ দিক থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচন করাতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার।