Advertisement
E-Paper

রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রতিনিধিরা জামায়াতের সঙ্গে বৈঠকে, নির্বাচন নিয়ে আরও একটি দলের সঙ্গে আলোচনা

সোমবার দুপুরে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমানের দফতরে গিয়ে সাক্ষাৎ করেন রাষ্ট্রপুঞ্জের সমন্বয়কারী দফতরের মানবাধিকার বিষয়ক সিনিয়র উপদেষ্টা হুমা খান। সঙ্গে ছিলেন, আর এক উপদেষ্টা তাজ়রিয়ান আক্রম খান।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২২:৪৮
জামায়াতের আমির শফিকুর রহমানের দফতরে গিয়ে সাক্ষাৎ করেন রাষ্ট্রপুঞ্জের সমন্বয়কারী দফতরের মানবাধিকার বিষয়ক সিনিয়র উপদেষ্টা হুমা খান।

জামায়াতের আমির শফিকুর রহমানের দফতরে গিয়ে সাক্ষাৎ করেন রাষ্ট্রপুঞ্জের সমন্বয়কারী দফতরের মানবাধিকার বিষয়ক সিনিয়র উপদেষ্টা হুমা খান। ছবি: সংগৃহীত।

গত বছরের অগস্টে জনবিক্ষোভের জেরে ক্ষমতা হারানোর দিন কয়েক আগে আগে নিষিদ্ধ করেছিলেন শেখ হাসিনা। কিন্তু ক্ষমতার পালাবদলের পর ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’ (‘জামাত’ নামেই যা পরিচিত)-র দাপট ক্রমশ বাড়ছে। সাত মাসের মধ্যে দ্বিতীয় বার ঢাকায় রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করলেন জামায়াতের নেতারা।

সোমবার দুপুরে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমানের দফতরে গিয়ে সাক্ষাৎ করেন রাষ্ট্রপুঞ্জের সমন্বয়কারী দফতরের মানবাধিকার বিষয়ক সিনিয়র উপদেষ্টা হুমা খান। সঙ্গে ছিলেন, আর এক উপদেষ্টা তাজ়রিয়ান আক্রম খান। জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লা মহম্মদ তাহের, সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল এহসানউল মাহবুব জুবায়ের এবং মির আহমাদ বিন কাসেমের প্রথম সারির নেতারাও হাজির ছিলেন বৈঠকে।

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো জানাচ্ছে, রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রতিনিধিদলকে জামায়াতের আমির ‘জুলাই শহিদদের’ স্মরণে প্রকাশিত ১২ খণ্ডের ইংরেজি সংস্করণ বই উপহার দিয়েছেন। সোমবার হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা নেওয়া আর এক দল, গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ রাশেদ খান বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রপুঞ্জের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্র্যাসি এন জ্যাকবসন এবং বাংলাদেশে রাষ্ট্রপুঞ্জের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইসের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেছেন। ওই বৈঠক হয় ঢাকার মার্কিন দূতাবাসে।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় জামাত নেতা-কর্মীরা প্রকাশ্যে পাকিস্তান সেনার পক্ষে কাজ করেছিলেন। রাজাকার ঘাতকবাহিনীর নেতা হিসাবে গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে একাধিক জামায়াতে নেতার বিরুদ্ধে। হাসিনা জমানায় কয়েক জনের সাজাও হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। ২০১৬ সালে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট জামায়াতের নির্বাচনী প্রতীক বাতিল করেছিল। গত ৩০ জুলাই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী হাসিনার সরকার ‘মৌলবাদ ও স্বাধীনতা বিরোধী’ জামায়াতের তাদের শাখা সংগঠন ইসলামি ছাত্র শিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। কিন্তু ৫ অগস্ট পালাবদলের পরে বদলে যায় পরিস্থিতি। এখন তারা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের ‘অন্যতম চালিকাশক্তি’ হিসাবে পরিচিত।

Bangladesh Jamaat-e-Islami Bangladesh general election United Nations
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy