জাতীয় সংসদের নির্বাচনের আগে গণভোটের আয়োজন করতে হবে বাংলাদেশে! বুধবার এই দাবি তুললেন ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি’ (‘জামাত’ নামেই যা পরিচিত)-র নেতারা। রাজধানী ঢাকায় সাংবাদিক বৈঠকে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লা মহম্মদ তাহের বলেন, ‘‘আমাদের দাবি, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাতীয় নির্বাচনের আগে অর্থাৎ নভেম্বরের মধ্যে গণভোট করাতে হবে।’’
২০২৪ সালের ৫ অগস্ট জনবিক্ষোভের জেরে ক্ষমতা হারানোর দিন কয়েক আগে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করেছিলেন শেখ হাসিনা। কিন্তু ক্ষমতার পালাবদলের পর ‘মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী’ এই রাজনৈতিক দলটির দাপট ক্রমশই বাড়ছে বাংলাদেশে। বস্তুত, তারা এখন মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের ‘অন্যতম চালিকাশক্তি’ হিসাবে পরিচিত। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামি ছাত্রশিবির সমর্থিত প্রার্থীরা। এই পরিস্থিতিতে বুধবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলির বৈঠকের পরে জুলাই সনদ নিয়ে জামায়াতের দাবি ইউনূস সরকারের উপর চাপ বাড়াল বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
প্রসঙ্গত, গত ৫ অগস্ট ক্ষমতার পালাবদলের বর্ষপূর্তিতে ‘৩৬ জুলাই উদ্যাপন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করেছিলেন। ২৮ দফার ওই ঘোষণাপত্র হল ২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের একটি দলিল, যার মাধ্যমে জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক ভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। মুজিবুর রহমান এবং হাসিনার আমলে ‘আওয়ামী লীগের স্বৈরাচারের’ পাশাপাশি সমালোচনা করা হয়েছে দুই সেনাশাসক, জিয়াউর রহমান (বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা) এবং হুসেন মহম্মদ এরশাদের (জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা) জমানারও। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের ‘জাতীয় বীর’ হিসেবে ঘোষণার কথাও বলা হয়েছে ওই সনদে। যদিও তার রূপায়ণের পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে এখনও মতবিরোধ রয়েছে।