দেড় দশকের পুরনো পিলখানা হত্যাকাণ্ডের তদন্তের কাজ শুরু করল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার নিযুক্ত কমিশন। ২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় বিডিআর (বাংলাদেশ রাইফেলস) সদর দফতর পিলখানায় আধাসেনার বিদ্রোহে ৭৪ জন নিহত হয়েছিলেন। ওই ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল মইন উন আহমেদ-সহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে গত ১৯ ডিসেম্বর ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে অভিযোগ করা হয়েছিল।
ওই অভিযোগের তদন্তের জন্য বিডিআরের প্রাক্তন ডিজি মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) এএলএম ফজলুর রহমানের নেতৃত্বে সাত সদস্যের কমিশন গঠন করে ইউনূর সরকার। ‘স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত’ ওই কমিশন এ বার কাজ শুরু করল। প্রসঙ্গত, হাসিনা ক্ষমতায় আসার এক মাসের মধ্যেই ঢাকার পিলখানা ব্যারাকে এই বিদ্রোহ করেছিল সে দেশের সীমান্তরক্ষী বিডিআর বাহিনী। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে আরও কয়েকটি বিডিআর ক্যাম্পে। পিলখানায় বিডিআরের বিদ্রোহী জওয়ানেরা ৭৪ জনকে হত্যা করেছিলেন। যার মধ্যে ৫৭ জনই ছিলেন তৎকালীন বিডিআর প্রধান মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ-সহ ডেপুটেশনে আসা সেনা অফিসারেরা।
আরও পড়ুন:
বিদ্রোহী বিডিআর জওয়ানেরা সে দিন অফিসারদের মেসে লুটপাটও করেছিলেন বলে অভিযোগ। খুন করা হয় কয়েক জন অফিসারের স্ত্রী এবং পরিজনকেও। ওই হত্যাকাণ্ডের জেরে বিডিআর-এর নাম বদলে বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) করেছিল তৎকালীন হাসিনা সরকার। হত্যাকাণ্ডের ওই মামলায় ১৫২ জনের ফাঁসির সাজা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে হাসিনা এবং তাঁর দল আওয়ামী লীগের কয়েক জন নেতা-মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহের ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। ইউনূস সরকার জানিয়েছে, দেশি-বিদেশি সংশ্লিষ্ট অপরাধী ব্যক্তি, গোষ্ঠী, সংস্থা, প্রতিষ্ঠান, বিভাগ ও সংগঠন চিহ্নিত করাও তদন্ত কমিশনের মূল কাজ হবে। ৯০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেবে কমিশন।