ইয়েমেনের বিমানবন্দরে হঠাৎ ইজ়রায়েলি হানা, ‘হু’ প্রধান গেব্রিয়েসাস বাঁচলেন কোনও মতে!

তিনি তখন ইয়েমেনের রাজধানী সানার বিমানবন্দরে। হঠাৎই আকাশ থেকে হানা দিল ইজ়রায়েলি যুদ্ধবিমান। ছুড়ে দিল এক ঝাঁক ‘এয়ার টু সারফেস মিসাইল’! যদিও বৃহস্পতিবার শেষ পর্যন্ত কোনও ক্ষতি হয়নি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র প্রধান টেড্রস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাসের।

সানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হামলায় অন্তত তিন জন নিহত এবং ৩০ জন আহত হয়েছেন, বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি পরিচালিত আল-মাসিরাহ টেলিভিশন জানিয়েছে। ‘হু’ প্রধান গেব্রিয়েসাস জানিয়েছেন, যখন রাষ্ট্রপুঞ্জের একটি দলের সঙ্গে তিনি বিমানে উঠতে যাচ্ছিলেন, তখনই বিমানবন্দর বোমাবর্ষণের শিকার হয়েছিল।

গত সপ্তাহে হুথি বাহিনী ইজ়রায়েলে হাইপারসনিক (শব্দের চেয়ে পাঁচ গুণ বা তার বেশি গতিসম্পন্ন) ক্ষেপণাস্ত্র ‘প্যালেস্টাইন-২’ দিয়ে হামলা চালিয়েছিল। তারই জবাবে বৃহস্পতিবার ইয়েমেনের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালায় ইজ়রায়েলি বিমানবাহিনী। সানাতে বিমানবন্দরের পাশাপাশি হোদেইদাহের বিদ্যুৎকেন্দ্রেও আছড়ে পড়ে ইজ়রায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র। ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘আমার সেনাকে নির্দেশ দিয়েছি, হুথিদের সমস্ত পরিকাঠামো ধ্বংস করে দিতে।’’

গাজ়া ভূখণ্ডে ইজ়রায়েলি হামলা শুরুর পরে ইরানের মদতপুষ্ট সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথি ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকেই ইয়েমেন উপকূল থেকে ধারাবাহিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে লোহিত সাগরগামী বাণিজ্যিক জাহাজগুলির উপর। আক্রান্ত হয়েছে কয়েকটি ভারতীয় জাহাজও। পাশাপাশি, ইজ়রায়েল ভূখণ্ড নিশানা করেও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে চলেছে তারা। ইতিমধ্যেই পশ্চিম এশিয়ায় মোতায়েন আমেরিকা সেনা হুথিদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানে শুরু করেছে। সৌদি আরবের মদতপুষ্ট ইয়েমেনের সুন্নি মুসলিমগোষ্ঠীর সরকার শিয়া বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে। কিন্তু রাজধানী সানার উত্তরের বিভিন্ন অংশ এখনও হুথিদের নিয়ন্ত্রণে। ইরানের পাশাপাশি লেবাননের শিয়া গোষ্ঠী হিজ়বুল্লার থেকেও তারা অস্ত্রসাহায্য পায় বলে অভিযোগ।