রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো দিল না আমেরিকা। বরং ভোটাভুটিতে বিরত থেকে ‘বন্ধু’ ইজরায়েলের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশের পথ মসৃণ করে দিল মার্কিন প্রশাসন। গত কালই রাষ্ট্রপুঞ্জের ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদ প্রস্তাব পাশ করে জানিয়েছে, অধিকৃত প্যালেস্তাইনে নিজেদের বসতি অবিলম্বে বন্ধ করুক ইজরায়েল।
বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা বিশ্বে। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী তো বটেই, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও ওবামা প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। ইজরায়েল নিয়ে এই ঘটনায় প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে বিদায়ী ও প্রেসিডেন্ট ইলেক্টের মধ্যে চরম টানাপড়েন। ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক, পূর্ব জেরুজালেম, গোলান হাইটসের মতো প্যালেস্তাইনের কিছু এলাকা দখল করেছিল ইজরায়েল। তার পর ওই এলাকায় নিজেদের নাগরিকদের রাখার ব্যবস্থা শুরু করে তারা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তাতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও আমেরিকা বরাবরই এই প্রসঙ্গে ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে। প্রতি বছর প্রতিরক্ষা খাতে বড় অঙ্কের মার্কিন অনুদানও পায় ইজরায়েল। ব্যতিক্রম ছিলেন ওবামা। ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে কোনও দিনই বনিবনা হয়নি ওবামার। সে জন্য ইজরায়েলের নানা সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখও খুলেছেন তিনি।
সম্প্রতি রাষ্ট্রপুঞ্জে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশের সিদ্ধান্ত নেয় নিউজিল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ভেনেজুয়েলা, সেনেগালের মতো কিছু দেশ। ট্রাম্পের চাপে শেষ মূহূর্তে পিছিয়ে আসে মিশর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy