—প্রতীকী চিত্র।
বল্টিমোরে জাহাজের ধাক্কায় সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনার এক সপ্তাহের মধ্যে বিপর্যয়ের পুনরাবৃত্তি। এ বারে আরকানস নদীর সেতুতে গিয়ে ধাক্কা মারল একটি বার্জ। তড়িঘড়ি ওকলাহোমা স্টেট পুলিশ দক্ষিণ সালিসো-র রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। গত মঙ্গলবার বল্টিমোরের ফ্রান্সিস স্কট কি সেতুতে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়ে বড় দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছিল। এ বারে তাই সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করেনি পুলিশ।
আরকানস নদীর উপর সেতুটি অবশ্য দুর্ঘটনার পরেও অক্ষত রয়েছে। কিন্তু প্রশাসন জানিয়েছে, ভাল ভাবে সেতু-পরীক্ষা না হওয়া পর্যন্ত সেটিতে যান চলাচল বন্ধ রাখা হবে। ট্রাফিক অন্য দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটিতে কোনও হতাহতের খবরও নেই। কী ভাবে এই বিপত্তি ঘটল, তা এখনও জানা যায়নি।
বল্টিমোরের ওই পণ্যবাহী জাহাজ ‘এমভি দালি’র ক্ষেত্রে জানা গিয়েছিল, বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। জাহাজের কর্মীরা দ্রুত প্রশাসনকে সতর্ক করেছিল। তাঁদের তৎপরতাতেই সে যাত্রা বড় বিপদ এড়ানো যায়। সেতুটির একাংশ কার্যত পাটকাঠির মতো ভেঙে পড়েছিল। প্রশাসন যান চলাচল আগেভাগে বন্ধ করে দেওয়ায় বহু প্রাণহানি এড়ানো যায়। এই ঘটনার পরে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জাহাজের সকল কর্মীকে ধন্যবাদ জানান।
এমভি দালি-র নাবিকদের মধ্যে ২০ জন ভারতীয়। তাঁরা এখনও ওই জাহাজেই রয়েছেন। সেতুটির ধ্বংসস্তূপ না সরানো হলে জাহাজটি ওই স্থান থেকে যেতে পারবে না। ভারতীয় নাবিকেরা জাহাজে থেকে সেটির দেখাশোনা করছেন। ২০ জন ভারতীয়ের মধ্যে এক জন গুরুতর জখম হয়েছিলেন। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, জখম নাবিককে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সেলাই পড়েছে তাঁর। কিছুটা সুস্থ বোধ করার পরে জাহাজে ফিরে এসেছেন তিনি।
মেরিল্যান্ডের গভর্নর জানিয়েছেন, সেতুর ধ্বংসস্তূপ সরাতে কয়েক সপ্তাহ লেগে যেতে পারে। জাহাজটি তত দিন আটকে থাকবে। আমেরিকার ওই ব্যস্ত জলপথও বন্ধ থাকবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy