ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। —ফাইল চিত্র।
গাজ়া সীমান্তের পাশাপাশি যুদ্ধের মেঘ ঘনিয়েছে উত্তরের লেবানন সীমান্তেও। এই আবহে সোমবার ইজ়রায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটে বক্তৃতায় লেবাবনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজ়বুল্লা এবং তাদের মদতদাতা ইরানকে নিশানা করলেন বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি— ‘‘আমাদের ধৈর্য্যের পরীক্ষা নেবেন না।’’
গত ৭ অক্টোবর ইজ়রায়েল জুড়ে ৫,০০০ রকেট হামলা চালানো প্যালেস্তেনীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে সোমবার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জার্মান একনায়ক হিটলারের নাৎসি বাহিনীর সঙ্গে তুলনা করেছেন ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী। জানিয়েছেন, গাজ়া ভূখণ্ড থেকে হামাসকে নির্মূল না করা পর্যন্ত সেনা অভিযান চলবে। লিকুদ পার্টির নেতা নেতানিয়াহু তাঁর রাজনৈতিক বিরোধীদের নিয়ে ‘জাতীয় সরকার’ গড়েছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘এ যুদ্ধ আমাদের সকলের।’’
হামাস বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের মধ্যেই শনিবার গাজ়া সীমান্তে ইজ়রায়েল সেনা অগ্রবর্তী ঘাঁটিতে গিয়েছিলেন নেতানিয়াহু। সেখানে গিয়ে সেনাকর্মীদের ‘উৎসাহ’ দিয়ে তিনি বলেন, “আমরা প্রস্তুত। আপনারা প্রস্তুত তো? পরবর্তী ধাপ আসতে চলেছে।” যদিও সেই পরবর্তী ধাপ কী, তা স্পষ্ট করেননি তিনি। তবে সামরিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, হামাসের তুলনায় যোদ্ধার সংখ্যা এবং অস্ত্রসম্ভারে অনেক এগিয়ে থাকা হিজ়বুল্লাকে নিয়ে এখন বেশি চিন্তিত ইজ়রায়েল। হাসান নাসারুল্লার নেতৃত্বাধীন এই শিয়া সশস্ত্র বাহিনীর হাতে থাকা মাঝারি পাল্লার ‘গাইডেড’ ক্ষেপণাস্ত্রগুলি তেল আভিভের বড় চিন্তার কারণ। ইতিমধ্যেই কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট হামলা চালিয়ে ইরানের মদতপুষ্ট এই বাহিনী তাদের শক্তি জানান দিয়েছে। নেতানিয়াহুর হুঁশিয়ারির মধ্যে তাই উদ্বেগের সুর রয়েছে বলেই মনে করছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy