Advertisement
E-Paper

নেভাডা জয় বার্নির

চার বছর আগে অর্থাৎ ২০১৬ সালে নিউ হ্যাম্পশায়ার প্রাইমারিতে স্যান্ডার্সকে হারতে হয়েছিল প্রাক্তন বিদেশসচিব হিলারি ক্লিন্টনের কাছে। এ বার সেই নিউ হ্যাম্পশায়ারেও জয় পেয়েছেন তিনি।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৪:৫১
ছবি: রয়টার্স।

ছবি: রয়টার্স।

গুরুত্বপূর্ণ নেভাডা ককাসে ফের এগিয়ে গেলেন ডেমোক্র্যাট সেনেটর বার্নি স্যান্ডার্স। গত সপ্তাহে তিনি হাড্ডাহাড্ডি লড়ছিলেন তুলনায় তরুণ প্রার্থী পিট বুটিজেজের সঙ্গে। এগিয়ে ছিলেন বুটিজেজই। এ বার তাঁকে পেরিয়ে গেলেন প্রবীণ স্যান্ডার্স। জয়ের পরে বার্নির ফেসবুক পেজে আমেরিকায় বসবাসকারী নানা ভাষাভাষীর মানুষের জন্য ছবি-সহ সংশ্লিষ্ট ভাষায় পোস্ট দেখা গিয়েছে। বাংলা, উর্দু, হিন্দিও রয়েছে সেখানে। বাংলায় লেখা— ‘বার্নি নেভাডা জিতেছে।’

চার বছর আগে অর্থাৎ ২০১৬ সালে নিউ হ্যাম্পশায়ার প্রাইমারিতে স্যান্ডার্সকে হারতে হয়েছিল প্রাক্তন বিদেশসচিব হিলারি ক্লিন্টনের কাছে। এ বার সেই নিউ হ্যাম্পশায়ারেও জয় পেয়েছেন তিনি। রবিবার নেভাডা জয়ের পরে তাঁকে অভিনন্দন জানান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি টুইটে লিখেছেন, ‘‘নেভাডায় ক্রেজ়ি বার্নি তো বেশ ভালই করেছে। বাইডেন আর বাকিরা বেশ দুর্বল। অভিনন্দন বার্নি। ওরা যেন তোমার সুযোগ ছিনিয়ে নিতে না-পারে!’’ বার্নি নিজে টুইটে লিখেছেন, ‘‘আমরা নেভাডা জিতেছি। তৃণমূল স্তরে নজিরবিহীন আন্দোলন করছি। আমরা সফল হবই।’’

ডেমোক্র্যাট সেনেটর বলেছেন, ‘‘ট্রাম্প আর ওর বন্ধুরা ভাবছে, চামড়ার রং, কে কোথায় জন্মেছে, কার কী ধর্ম বা লিঙ্গ পরিচয়— এ সবের উপরে ভিত্তি করে আমাদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করে ওরা এই নির্বাচনে জিতে যাবে। আমরা ঠিক তার উল্টোটা করে জিতব। আমরা মানুষকে একজোট করছি।’’ নেভাডার মতো বৈচিত্রময় প্রদেশে বার্নির জয় যথেষ্ট গুরুত্ব পাচ্ছে বিশ্লেষকদের কাছে।

আরও পড়ুন: কাশ্মীর-মধ্যস্থতা করুন, ভারত সফরের আগে ট্রাম্পকে আর্জি পাকিস্তানের

এমনিতে গত জানুয়ারি পর্যন্ত প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এগিয়ে থাকলেও গত বছরের মাঝামাঝি থেকে তৃণমূল স্তরে কাজ শুরু করেছিলেন বার্নি। নেভাডায় কাজে নামিয়েছিলেন ২৫০ কর্মীকে। অ-শ্বেতাঙ্গ ভোটারদের ৪৪ শতাংশ ভোট পেয়েছেন বার্নি। যা বাইডেনের কাছে বড় ধাক্কা। কারণ বাইডেন এর আগে দাবি করেছিলেন, সংখ্যালঘু ভোটই তাঁর মনোনয়ন জেতার ক্ষেত্রে বড় ভিত্তি হয়ে দাঁড়াবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, নেভাডার ভোটাররা ভেবেছেন এমন এক জনকে দরকার, যিনি ট্রাম্পের মুখোমুখি লড়তে সমর্থ। তা ছাড়া স্বাস্থ্যক্ষেত্র নিয়েও ভোটারদের বড় চিন্তা। ৬৩ শতাংশ ভোটার বলেছেন, তাঁরা সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবাতেই ভরসা রাখতে চান। যেমনটা স্যান্ডার্স প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

বাংলা নিয়ে বার্নির যোগ অবশ্য আগেও দেখা গিয়েছে। গত মাসে তাঁর ফেসবুক পেজে ছিল স্বাস্থ্য নিয়ে বাংলায় লেখা পোস্ট। বাংলাদেশি-মার্কিনদের কথা মাথায় রেখেই ওই পোস্ট। লেখা ছিল: ‘স্বাস্থ্যসেবা একটি মানবাধিকার।’ যে কোনও সম্প্রদায়ের পাশে আছেন তাঁরা, এই বার্তা বার্নির শিবির থেকে সব সময় দেওয়ার চেষ্টা রয়েছে। বিশেষত, নিজের পরিবারের অভিবাসনের কথা বারবার উল্লেখ করেন বার্নি। তিনি বলেন, কী ভাবে তাঁর বাবা সামান্য অর্থ এবং ইংরেজির অল্প জ্ঞান নিয়েও ১৭ বছর বয়সে পোলান্ড থেকে আমেরিকায় এসে কঠোর পরিশ্রম ও একাগ্রতা দিয়ে সফল হয়েছিলেন।

Bernie Sanders
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy