পাকিস্তানে জাফর এক্সপ্রেসে ফের হামলা চালালেন বালোচ বিদ্রোহীরা। মঙ্গলবার সকালে পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশে রেললাইনে বিস্ফোরণ হয়। ওই বিস্ফোরণে পেশোয়ারগামী জাফর এক্সপ্রেসের বেশ কয়েকটি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে গিয়েছে। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ‘ডন’ অনুসারে, দুর্ঘটনায় সাত জন জখম হয়েছেন।
পাকিস্তানের বালোচিস্তান প্রদেশের কোয়েটা এবং খায়বার পাখতুনখোয়া প্রদেশের পেশোয়ারের মধ্যে চলাচল করে জাফর এক্সপ্রেস। সাম্প্রতিক সময়ে বার বার এই ট্রেনটি হামলার শিকার হয়েছে। বেশির ভাগ ঘটনার ক্ষেত্রেই বালোচ বিদ্রোহীদের নাম উঠে এসেছে। মঙ্গলবারের বিস্ফোরণেরও বালোচ বিদ্রোহীদের নাম জড়িয়েছে। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি বার্তায় ‘বালোচ রিপাবলিকান গার্ড্স’ নামে একটি গোষ্ঠী ঘটনার দায়স্বীকার করেছে। যদিও ওই সমাজমাধ্যম বার্তার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম। পোস্টে বিদ্রোহীদের দাবি, ট্রেনে পাক সেনাকর্মীরা সফর করছিলেন। সেই কারণেই তাঁরা হামলা চালিয়েছেন।
মঙ্গলবার ট্রেনটি কোয়েটা থেকে পেশোয়ারের দিকে যাওয়ার সময়ে সিন্ধ প্রদেশের শিকারপুর জেলায় সুলতানকোটের কাছে বিস্ফোরণটি হয়। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে পাকিস্তানের স্থানীয় পুলিশবাহিনী। পাক আধাসেনা বাহিনীও পৌঁছেছে ঘটনাস্থলে। পুরো এলাকা ঘিরে ফেলেছে তারা। বিস্ফোরণস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, আইইডি বিস্ফোরণ হয়েছে রেললাইনে। তার জেরেই লাইনচ্যুত হয়ে ট্রেনটি। রেললাইনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুর্ঘটনাস্থল থেকে জখমদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:
চলতি বছরের মার্চে জাফর এক্সপ্রেস অপহরণ করে যাত্রীদের পণবন্দি করে নিয়েছিলেন সশস্ত্র বালোচ বিদ্রোহীরা। বন্দিদের মুক্ত করতে সেনা নামাতে হয়েছিল পাকিস্তানকে। ওই ঘটনায় পাকিস্তানের সেনা জওয়ান-সহ মোট ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সেনার পাল্টা অভিযানে মৃত্যু হয় ৩৩ জন বালোচ বিদ্রোহীর। শেষে ৩৫৪ জন বন্দি-সহ ট্রেনটিকে উদ্ধার করে পাক সেনা। তার পরেও বিভিন্ন সময়ে হামলার মুখে পড়েছে জাফর এক্সপ্রেস। গত জুন মাসে সিন্ধ প্রদেশের জাকোবাবাদের কাছে বিস্ফোরণে ট্রেনের চারটি কামরা লাইনচ্যুত হয়। তার পরে অগস্টের ৪ এবং ১০ তারিখেও হামলার মুখে পড়ে জাফর এক্সপ্রেস। গত মাসেও বালোচিস্তানের মাস্তাঙের কাছে বিস্ফোরণে উড়ে যায় ট্রেনটির একটি কামরা। লাইনচ্যুত হয় আরও ছ’টি কামরা।