শান্তিবৈঠক চলাকালীন পাকিস্তানের দক্ষিণ ওয়াজ়িরিস্তানে বিস্ফোরণ। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত সাত জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহত আরও অনেকে।
সোমবার দুপুরে দক্ষিণ ওয়াজ়িরিস্তানের ওয়ানা শহরে স্থানীয় শান্তি কমিটির একটি বৈঠক চলছিল। সে সময়েই বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে চার দিক। বিস্ফোরণের অভিঘাতে কমপক্ষে সাত জনের মৃত্যু হয়। তবে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা পুলিশের। পাক পুলিশের আধিকারিক উসমান ওয়াজ়ির সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘‘সে সময় ওই ভবনে শান্তিবৈঠক চলছিল। বিস্ফোরণের ফলে বহুতলের একটি অংশ ধসে পড়ে। তাতেই মৃত্যু হয় সাত জনের। বেশ কয়েক জন ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে যান।’’ তবে এই হামলার নেপথ্যে কারা ছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত।
আরও পড়ুন:
সংবাদ সংস্থা এপি সূত্রে খবর, বিস্ফোরণের পর প্রাথমিক ভাবে মোট ১৬ জন আহতকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে তাঁদের মধ্যে সাত জনের মৃত্যু হয়। বাকিদের আঘাত গুরুতর হলেও তাঁদের অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। স্থানীয় সূত্রে খবর, ধ্বংসস্তূপের নীচে এখনও বেশ কয়েকজন আটকা পড়ে রয়েছেন। তাঁদের উদ্ধারে এলাকায় পৌঁছেছে উদ্ধারকারী দল। উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও।
দক্ষিণ ওয়াজ়িরিস্তান জেলাটি পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে অবস্থিত। পাক তালিবানদের গোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)-র ঘাঁটি বলেই পরিচিত ওই এলাকা। সোমবার দুপুরে সেখানকারই প্রধান শহর ওয়ানায় সরকারপন্থী এক শান্তি কমিটির দফতরের বাইরে বিস্ফোরণ হয়। অতীতে একাধিক বার প্রকাশ্যে টিটিপি-র বিরোধিতা করেছিল এই শান্তি কমিটি। ফলে বিস্ফোরণে টিটিপি-র হাত রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
উল্লেখ্য, রবিবারই পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী উত্তর ওয়াজিরিস্তানের কাছে অনুপ্রবেশকারী ৫৪ জন ‘জঙ্গি’কে হত্যা করেছে পাক নিরাপত্তাবাহিনী। ওই জঙ্গিদের সীমান্তে স্পর্শকাতর এলাকায় সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গিয়েছিল। পাক সেনার বিবৃতিতে নিহতদের ‘খোয়ারিজ়’ হিসাবেও চিহ্নিত করা হয়েছে, যে শব্দবন্ধটি সাধারণত পাকিস্তানি তালিবানদের বোঝাতে পাক সরকার কর্তৃক ব্যবহৃত হয়। সেই ঘটনার এক দিনের মাথায় এমন ঘটনায় ‘প্রত্যাঘাতের’ সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা।