মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের উপর চাপ বাড়ালেন খালেদা জ়িয়া। বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বিএনপির প্রধান মঙ্গলবার দাবি তুলেছেন, অবিলম্বে জুলাই হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার ও শহিদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশে গণতন্ত্র রক্ষারও ডাক দিয়েছেন তিনি।
গত বছরের জুলাই মাসে বাংলাদেশে কোটা সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেছিল ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’। যার জেরে ৫ অগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লিগ সরকারের পতন ঘটে। ইউনূস সরকারের হিসাব বলছে, হাসিনা-বিরোধী সেই আন্দোলনে ৮৪৪ জন ‘শহিদ’ হয়েছিলেন। জাতীয় সংসদের নির্বাচনের সময় এবং প্রধানমন্ত্রিত্বের মেয়াদ সর্বোচ্চ ১০ বছরে বেঁধে রাখার প্রশ্নে ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির টানাপড়েন চলছে বেশ কিছু দিন ধরে। এই আবহে সেই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে খালেদা অন্তর্বর্তী সরকারের উপর চাপ বাড়ালেন বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
খালেদা মঙ্গলবার হাসিনা জমানাকে নিশানা করে বলেন, ‘‘দীর্ঘ ১৬ বছর নির্মম অত্যাচার, গ্রেফতার, হত্যা, গুম ও খুনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে একদলীয় শাসনব্যবস্থা চিরস্থায়ী করতে চেয়েছিল আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী। ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটেছে। সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশকে নতুন করে গড়ার।’’ সেই শহিদদের রক্ত যাতে বৃথা না যায় বিএনপি তা নিশ্চিত করবে বলেও জুলাই বিপ্লবের বর্ষপূর্তি কর্মসূচিতে জানান প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বিএনপির ওই সভায় হাজির কয়েক জন শহিদ পরিবারের সদস্য জাতীয় সংসদে তাঁদের জন্য ‘উপযুক্ত প্রতিনিধিত্বের’ দাবি জানান। ঘটনাচক্রে, মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের পরিবারের সদস্যদের জন্য সংরক্ষণের বিরোধিতা করেই শুরু হয়েছিল জুলাই আন্দোলন।