দ্বিতীয় বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরেই গাজ়ায় যুদ্ধবিরতির জন্য ইজ়রায়েলের উপর চাপ তৈরি করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ঘিরে সংঘাতের আবহে বদলে গিয়েছে পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতি। মঙ্গলবার ইজ়রায়েলকে ৫১ কোটি ডলারের (প্রায় ৪৩৬৫ কোটি টাকা) অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির সিদ্ধান্ত অনুমোদন করে সেই বার্তাই দিল মার্কিন বিদেশ মন্ত্রক।
মার্কিন ‘প্রতিরক্ষা নিরাপত্তা সহযোগিতা সংস্থা’ (ডিএসসিএ) এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘এই পদক্ষেপ ইজ়রায়েলকে বর্তমান ও ভবিষ্যতের হামলা মোকাবিলায় সাহায্য করবে। এর মাধ্যমে তারা নিজেদের সীমান্ত, গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো ও জনবসতি আরও ভাল ভাবে রক্ষা করতে পারবে।’’ তবে এ বিষয়ে এখনও মার্কিন কংগ্রেসের কোনও অনুমোদন নেয়নি ট্রাম্প সরকার।
প্রকাশিত কয়েকটি খবরে দাবি, ওয়াশিংটনের তরফে যে সমরসম্ভার তেল আভিভকে দেওয়া হবে, তার মধ্যে রয়েছে প্রায় সাত হাজার ‘বম্ব গাইডেন্স কিট’। এর সাহায্যে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁত ভাবে গাইডেড বোমা হামলা চালানো সম্ভব। সামরিক পরিভাষায় এই অস্ত্রের নাম ‘জয়েন্ট ডাইরেক্ট অ্যাটাক মিউনিশন’ (জেডিএএম)। বিএলইউ-১০৯ গাইডেড বোমার জন্য ৩৮৮৫টি কেএমইউ ৫৫৮বি/ বি জেডিএএম এবং এমকে-৮২ বোমার জন্য ৩২৮০টি কেএমইউ ৫৭২এফ/ বি জেডিএএম রয়েছে মার্কিন খয়রাতির তালিকায়।
গত ১৩ জুন ইরানের পরমাণু ও সামরিক কেন্দ্রে ইজ়রায়েলি বিমানহানার পরে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে দু’তরফের সংঘর্ষ চলেছিল। শেষ পর্যন্ত ইরানে মার্কিন হানার পরে সংঘর্ষবিরতি হলেও ধারাবাহিক হানাহানির পরিণতিতে ইজ়রায়েলের বোমা এবং ক্ষেপণাস্ত্রের ভান্ডারে ‘টান পড়েছে’ বলে মনে করছেন সামরিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। তাঁদের মতে, সেই ঘাটতি পূরণের উদ্দেশ্যেই তড়িঘড়ি তেল আভিভকে অস্ত্র সরবরাহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমেরিকা। ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার মার্কিন অস্ত্রের সাহায্যে নতুন করে পশ্চিম এশিয়ার আরও কিছু ‘পূর্বনির্দিষ্ট লক্ষ্যে’ হামলা চালাতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা।