অবশেষে মুখ খুললেন বব ডিলান। না, গানের কথায় নয়। পুরস্কারের প্রাপ্তিস্বীকারে। জানালেন, ‘‘এটা অবিশ্বাস্য! দারুণ ঘটনা!’’ সাহিত্যে নোবেল প্রাপক হিসেবে নাম ঘোষণার প্রায় পনেরো দিন পরে জনসমক্ষে এই ছিল তাঁর প্রথম প্রতিক্রিয়া।
শুক্রবার ব্রিটেনের এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, নোবেলপ্রাপক হিসেবে নাম ঘোষণা হওয়ায় তিনি বাগ্রুদ্ধ! অবশ্য পুরস্কার নিতে তিনি সুইডেন যাবেন কি না, সে বিষয়ে কিন্তু এখনও খোলসা করে কিছু জানাননি।
শনিবার সুইডিশ অ্যাকাডেমির তরফে জানানো হয়, কমিটির সচিব সারা দানিয়ুসের সঙ্গে ফোনে অন্তত ১৫ মিনিট কথা বলেছেন ডিলান। পুরস্কার নিতে যেতে পারবেন কি না, তা নিশ্চিত না করলেও সারা জানিয়েছেন, পুরস্কার গ্রহণের মঞ্চে ডিলান বিশেষ চমক দিতে পারেন। সশরীর হাজিরা না দিয়ে হয়তো একটা গানের ভিডিওই পাঠিয়ে দিলেন! ডিলান সব পারেন।
দিনবদলের গানে তিনি চুয়াত্তরের চারণকবি। গত ১৩ অক্টোবর এ বছর সাহিত্যে নোবেল প্রাপক হিসেবে তাঁর ঘোষণা হয়েছিল। বিশ্ব জুড়ে ডিলান-মুগ্ধরা আবেগে ভাসলেও চুপ ছিলেন আমেরিকার এই খ্যাতনামা গায়ক ও গীতিকার। আগামী ১০ ডিসেম্বর সুইডেনের রাজধানী স্টকহলমে সেই অনুষ্ঠান হওয়ার কথা। নোবেলজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন সে দেশের রাজা কার্ল গুস্তাফ। কিন্তু নাম ঘোষণার পর সুইডিশ অ্যাকাডেমির তরফে বার বার যোগাযোগ করা হলেও ডিলান ফোন তোলেননি বলেই জানিয়েছেন তাঁরা। ফলে একটা সময়ের পর তিনি আদৌ পুরস্কার গ্রহণ করবেন কি না, তা নিয়েই ধন্দে পড়ে যান নোবেল কমিটির সদস্যরা। শুক্রবার অবশ্য সব জল্পনা থামিয়ে মুখ খুলেছেন ডিলান।
তবু প্রশ্ন থাকছেই। মাঝের এই ১৫ দিন কোথায় ছিলেন তিনি? কেন চুপ ছিলেন? পুরস্কার নেবেন কি না, তা নিয়ে কি সত্যিই দোটানায় ভুগছিলেন প্রবাদপ্রতিম এই শিল্পী? নাকি এটা নিছকই ডিলান-সুলভ খামখেয়ালিপনা! সাংবাদিকের প্রশ্নবাণে একটুও না ঘাবড়ে ডিলানের উত্তর, ‘‘এই তো আমি! আপনাদের সামনেই আছি!’’
আম-জনতা উত্তর না পেলেও নোবেল কমিটির সদস্যরা অবশ্য স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন। এই প্রসঙ্গে কমিটির সচিব সারা দানিয়ুস বলেন, ‘‘ওঁর যা ভাল লাগবে, তাই করবেন। তবে ডিলানের হাতে পুরস্কার পৌঁছে দিতে আমরা সব চেষ্টাই করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy