Advertisement
০৩ মে ২০২৪

ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সাসপেন্ড বেআইনি, বলল স্কটিশ কোর্ট

স্কটল্যান্ডের কোর্টের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বাকিংহাম প্রাসাদের তরফে জানানো হয়েছে, রানি তাঁর মন্ত্রীদের পরামর্শেই কাজ করেন। তাই এ ক্ষেত্রে রানি আইন ভঙ্গ করেছেন, এমনটা বলা যায় না।

বরিস জনসন।

বরিস জনসন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
লন্ডন শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০১:৪৬
Share: Save:

ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন যে ভাবে পার্লামেন্ট সাসপেন্ড করেছেন, তা বেআইনি বলে জানিয়ে দিল স্কটল্যান্ডের সর্বোচ্চ সিভিল কোর্ট। স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টার্জন বলেছেন, বরিসের উচিত ফের দ্রুত পার্লামেন্ট ডাকা। গত কালই ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজ়াবেথের কাছে আবেদন জানিয়ে পার্লামেন্ট সাসপেন্ড করেছেন বরিস।

স্কটল্যান্ডের কোর্টের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বাকিংহাম প্রাসাদের তরফে জানানো হয়েছে, রানি তাঁর মন্ত্রীদের পরামর্শেই কাজ করেন। তাই এ ক্ষেত্রে রানি আইন ভঙ্গ করেছেন, এমনটা বলা যায় না। সদ্য কনজ়ারভেটিভ পার্টি থেকে বরখাস্ত হওয়া প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল দমিনিক গ্রিভ বলেছেন, বরিস উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে রানিকে ভুল পথে চালিত করেছেন, এটা যদি প্রমাণিত হয়, তা হলে তখনই প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত।

বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের একটি দল প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে স্কটল্যান্ডের সেশন কোর্টে গিয়েছিলেন। সেখানে তিন বিচারকের প্যানেল গোটা বিষয়টি শুনে বলেছে, ব্রেক্সিটের আগে সরকারকে যাতে দায়ী করা না যায়, তার জন্য প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্ট বন্ধ করে দিতে চেয়েছেন। বিচারকেরা বলেছেন, ‘‘পার্লামেন্ট স্তব্ধ করার অসদুদ্দেশ্য থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বরিস— এ বিষয়ে আমরা একমত।’’ বিচারকদের বক্তব্য, সে ক্ষেত্রে ধরে নেওয়া যায়, বরিস রানিকে ভুল পথে চালিত করেছেন। বিচারকরা বলেছেন, ‘‘রানিকে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ এবং পার্লামেন্ট সাসপেন্ড করানোর সিদ্ধান্ত পুরোপুরি বেআইনি— আদালত এই নির্দেশই ঘোষণা করবে।’

ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) থেকে যাওয়ারই পক্ষে, এমন ৭০ জন এমপি এবং তাঁদের কিছু সমর্থক বরিসের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে স্কটল্যান্ডের সেশন কোর্টে চ্যালেঞ্জ জানান। এঁদের নেতৃত্বে ছিলেন স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির এমপি জোয়ানা চেরি। তিনিই বলেছেন, আদালতের নির্দেশের পরেই ফের কাজ শুরু হওয়া উচিত ব্রিটেনের পার্লামেন্টে। চেরি বলেছেন, ‘‘আমাদের ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। তবে আমি আত্মবিশ্বাসী, ব্রিটেনের সুপ্রিম কোর্ট এই আদালতের সিদ্ধান্তই বহাল রাখবে।’’

ব্রিটেনের সরকার অবশ্য জানিয়েছে, স্কটল্যান্ডের আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তারা সুপ্রিম কোর্টে যাবে। স্কটল্যান্ডের আদালতের আগে অবশ্য গত সপ্তাহে অন্য একটি আদালতে বলা হয়েছিল, বরিস কোনও আইন ভঙ্গ করেননি।

এ বার স্কটিশ আদালতের রায়ের জেরে ব্রিটেনের সরকার ফের পার্লামেন্ট চালু করবে কি না, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। সোমবার রাতে সাসপেন্ড হওয়ার পর থেকে যা পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে, তাতে আগামী ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত এমপি-দের পার্লামেন্টে ফেরার কোনও সম্ভাবনা নেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Boris Johnson UK Parliament Brexit
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE