বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নেতা চিন্ময়কৃষ্ণ দাস। —ফাইল চিত্র।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নেতা চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির প্রসঙ্গ উঠল ব্রিটেনের সংসদেও। বিরোধী কনজ়ারভেটিভ দলের সাংসদ বব ব্ল্যাকম্যান সংসদে এই প্রসঙ্গ তুলেছেন। চিন্ময়কৃষ্ণ এবং ইসকন প্রসঙ্গে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার যে অবস্থান নিয়েছে, তার বিরোধিতাও করেছেন তিনি। ব্রিটিশ সরকারের হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন। কোনও দেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার সমর্থনযোগ্য নয় বলে সংসদে জানিয়েছেন ওই ব্রিটিশ সাংসদ।
চিন্ময়কৃষ্ণের প্রসঙ্গ সংসদে তুলে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচারের অভিযোগের দিকে ব্রিটিশ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন বিরোধীরা। ব্ল্যাকম্যান ব্রিটেনের ইসকন মন্দিরের প্রসঙ্গ তুলে বলেছেন, ‘‘আমাদের দেশে সবচেয়ে বড় হিন্দু মন্দির পরিচালনা করে ইসকন। তাদের ধর্মীয় নেতা বাংলাদেশে গ্রেফতার হয়েছেন।’’ বাংলাদেশে মুহাম্মদ ইউনূস পরিচালিত অন্তর্বর্তী সরকারের অবস্থানের কথাও সংসদে জানিয়েছেন তিনি। ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে চেয়ে বাংলাদেশের হাই কোর্টে মামলা হয়েছিল। সেই মামলায় বাংলাদেশ সরকার ইসকনকে ‘ধর্মীয় মৌলবাদী সংগঠন’ বলে উল্লেখ করেছে। ব্রিটেনের সংসদে সেই প্রসঙ্গ তুলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিরোধীরা। লেবার পার্টি পরিচালিত ব্রিটিশ সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তাঁরা।
সংসদে ব্রিটিশ সাংসদ বলেন, ‘‘বাংলাদেশের সরকারে যা-ই পরিবর্তন আসুক না কেন, কোনও অবস্থাতেই ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর এই ধরনের অত্যাচার সমর্থন করা যায় না।’’ সারা বিশ্বেই ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। সংসদে এ প্রসঙ্গ উঠলেও ব্রিটিশ সরকারের তরফে বাংলাদেশ নিয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
বাংলাদেশে হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গত সোমবার রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। চট্টগ্রামের আদালত তাঁর জামিনের আবেদনও খারিজ করে দেয়। তার পর থেকেই তাঁর মুক্তির দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়েছে বাংলাদেশে। চট্টগ্রাম, রংপুরের মতো এলাকায় সংখ্যালঘুরা পথে নেমেছেন। পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় তাঁদের সংঘর্ষ হয়েছে। পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে উঠেছে বাংলাদেশে। এর মাঝেই হাই কোর্টে ইসকনের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা খারিজ হয়ে যায়। ইসকনের তরফে বৃহস্পতিবার জানানো হয়েছিল, চিন্ময়কৃষ্ণ তাদের প্রতিনিধি নন। শুক্রবার আবার তারা এই ধর্মীয় নেতার পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে। চিন্ময়ের গ্রেফতারি এবং বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে ভারত ইতিমধ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy