মোবাইলের স্ক্রিনে একটা অদ্ভুতুড়ে নম্বর। দোনামনা করেও তুলেছিলেন ফোনটা। তবে এমন চমক যে অপেক্ষা করছে, এতটা আশা করেননি তিনি। বলে কী লোকটা! ‘হ্যালো, পৃথিবী?’
ও-পারের পুরুষ কণ্ঠ যে মজা করছে, তত ক্ষণে প্রায় নিশ্চিত ফোনের মালকিন। কিন্তু রাগ করবেন কার উপর! যিনি ফোন করেছেন, নিজের ভুল বুঝতে পেরে অনুতাপের সুর যে তখন তাঁর গলাতেই।
না, কথোপকথনের বাকিটা আর জানা যায়নি। ‘ভুল’টা যে কী, ফোনের প্রান্তবাসিনী মহিলা সেটা জানতে পেরেছিলেন কি না, জানার উপায় নেই তা-ও। তবে এই ভ্রান্তি বিলাসের কাহিনী পরে নিজেই জানিয়েছেন নায়ক। খাস মহাকাশ থেকে।
আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রে মোটে দশ দিন হল পৌঁছেছেন ব্রিটিশ নভশ্চর টিম পিক। বাবা-মাকে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানাবেন বলে নম্বর ঘুরিয়েছিলেন গবেষণা কেন্দ্র থেকে। কিন্তু সংখ্যার সামান্য ভুলচুকে লাইন চলে যায় এক অচেনা মহিলার ফোনে। টিম শুরু করেছিলেন এক মজাদার সম্ভাষণ দিয়ে। কিন্তু ভুল নম্বরে ফোন গিয়েছে বুঝতে পেরে বেজায় অস্বস্তিতে পড়ে যান নভশ্চর।
টুইটারে টিম লিখেছেন, ফোনে মহিলা কণ্ঠ শুনেই প্রশ্ন করেছিলাম— ‘হ্যালো, পৃথিবী?’ ও-প্রান্তের তাঁর কোনও আত্মীয় নন, এক জন অপরিচিত মহিলা তা বুঝতে পেরে টিম তৎক্ষণাৎ জানিয়ে দেন— এটা নেহাতই ভুল নম্বরের কারসাজি। সে জন্য ওই মহিলার কাছে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন ওই মহাকাশচারী। নিজের কীর্তিতে টিম লজ্জা পেলেও এ নিয়ে হাসি-মস্করা কিন্তু থামছে না। কেউ কেউ বলছেন, ভুল নম্বরের চক্করে একেবারে মহাকাশ থেকেও পুরুষের ফোন যায় মহিলার নম্বরেই।
তবে টিম পিকের চমকে দেওয়ার ইচ্ছে না থাকলেও বড়দিনের চমক কিন্তু রয়েছে আম্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের ঝুলিতে। এ দিন রাতের আকাশে উজ্জ্বলতম উপস্থিতি তাঁদেরই, জানিয়েছেন এই কেন্দ্রের মহাকাশচারীরা। সোসাইটি অব পপুলার অ্যাস্ট্রোনমির রবিন স্ক্যাগেলের কথায়, সূর্যাস্তের পর আজ ফ্রান্স-স্পেনের সীমান্তে পশ্চিম থেকে পুব আকাশে অনেকটা নীচ দিয়েই উড়ে যাবে এই কৃত্রিম উপগ্রহ। পূর্ণিমার চাঁদ আর আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের ঝলমলে উপস্থিতি— সব মিলিয়ে আরও উজ্জ্বল বড়দিনের রাত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy