ছবি: সংগৃহীত।
ব্রিটিশ মুদ্রায় কি এ বার দেখা যাবে মহাত্মা গাঁধীর মুখ? তেমন সম্ভাবনাই উজ্জ্বল হচ্ছে ক্রমশ। রবিবার ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনকের অফিস জানিয়েছে, এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই চিন্তা-ভাবনা শুরু করেছে ব্রিটিশ সরকার। বিশ্ব জুড়ে কৃষ্ণাঙ্গদের বিরুদ্ধে বৈষম্যের আবহে অ-শ্বেতাঙ্গ ব্যক্তিত্বদের কীর্তিকে উদ্যাপনের ফলস্বরূপ এই উদ্যোগ বলে মনে করা হচ্ছে। মহাত্মার মতোই বিশেষ স্মারক-মুদ্রায় দেখা যেতে পারে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ গুপ্তচর নুর এনায়েত খান বা জামাইকান-ব্রিটিশ নার্স মেরি সিকোলকে।
ব্রিটিশ মুদ্রায় থিম বেছে নেওয়া বা ডিজাইন তৈরির কাজে যুক্ত যে কমিটি, সেই রয়্যাল মিন্ট অ্যাডভাইজরি কমিটি (আরএমএসি)-কে ইতিমধ্যেই চিঠি লিখেছেন ঋষি সুনক। ‘উই টু বিল্ট ব্রিটেন’ নামক এক প্রচারের সমর্থনেই সুনকের এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছে তাঁর দফতর। তবে সুনকই প্রথম নন, পূর্বতন অর্থমন্ত্রী সাজিদ জাভিদই গত বছরের অক্টোবরে প্রথম এই দাবি তোলেন। সে সময় মহাত্মা গাঁধীর প্রতিকৃতি ব্রিটিশ মুদ্রায় অন্তর্ভুক্ত করতে উদ্যোগী হয়েছিলেন সাজিদ। সদ্য অর্থমন্ত্রী পদে আসা ঋষি সুনকও সেই দাবি তুলেছেন। ‘উই টু বিল্ট ব্রিটেন’ নামক এক প্রচারের উদ্যোক্তা জেহরা জাহিদিকে তিনি একটি চিঠিও লিখেছেন। তাতে সুনক লিখেছেন, “কৃষ্ণাঙ্গ, এশীয় এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী গ্রেট ব্রিটেনের ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে।” চিঠিতে তিনি আরও লিখেছেন, ওই সমস্ত জনগোষ্ঠী একত্রিত হয়ে প্রজন্মের পর প্রজন্ম এ দেশের জন্য লড়াই করেছে, মৃত্যুবরণ করেছে, ব্রিটেনের কর্মসংস্থান ও উন্নতিতে অবদান রেখেছে।
এ নিয়ে আরএমএসি-র প্রধান লর্ড ওয়ার্ডগ্রেভকেও চিঠি দিয়েছেন সুনক। যাতে এই অ-শ্বেতাঙ্গ জনগোষ্ঠীর অবদানের কথা মাথায় রেখে ব্রিটিশ মুদ্রায় তাদের প্রতিনিধিত্ব থাকে।
আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত অমিত শাহ, ভর্তি হাসপাতালে
আরও পড়ুন: কত লোক তো রোজ মরে: বোলসোনারো
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy