ভারতের আধার কার্ডের অনুকরণে এ বার ব্রিটেনেও সচিত্র পরিচয়পত্র তৈরি করতে চলেছে সে দেশের সরকার। নতুন এই পরিচয়পত্রের নাম হবে ‘ব্রিট কার্ড’। অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়নের দাবিতে সম্প্রতি ব্রিটেনে বেশ কয়েকটি মিছিল এবং জমায়েত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অবৈধ ভাবে ব্রিটেনে থাকা শ্রমিকদের চিহ্নিত করতে প্রত্যেক নাগরিকের জন্য নতুন সচিত্র পরিচয়পত্র তৈরি করতে চলেছে। কয়েক দিন আগেই ভারতে এসেছিলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার। ওই সফরেই তিনি আধার কার্ডের খুঁটিনাটি সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে যান।
দু’দিনের সফরে ভারতে এসে স্টার্মার মুম্বইয়ে দেখা করেছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নন্দন নিলেকানির সঙ্গে। আধার কার্ডের বিষয়টি যাঁদের মস্তিষ্কপ্রসূত, নিলেকানি তাঁদের অন্যতম। এই কার্ড তৈরির প্রক্রিয়া, তাঁর সুবিধা-অসুবিধার দিকগুলি স্টার্মার বোঝার চেষ্টা করেন বলে একটি সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন:
১৫ বছর আগে ভারতে চালু হওয়া আধার কার্ড নিয়ে বিতর্কও অবশ্য কম নেই। ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিসের বিভিন্ন জরুরি কাজে আধার কার্ড থাকা বাধ্যতামূলক। এমনকি সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেতেও এটি কাজে লাগে। কিন্তু বার বারই অভিযোগ উঠেছে যে, আধার কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়া নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য বাইরে ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। তবে বিতর্ক সত্ত্বেও বর্তমানে ১৪০ কোটি ভারতীয়ের কাছে রয়েছে আধার কার্ড।
আধার কার্ডের ‘বিচ্যুতি’র দিকগুলি তুলে ধরে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’। বিষয়টি নিয়ে শোরগোল শুরু হলে ব্রিটেনের লেবার পার্টির নেতৃত্বাধীন সরকারের এক মুখপাত্র জানান, ভারতের আধার কার্ড সংক্রান্ত অভিজ্ঞতা থেকে তাঁরা শিক্ষা নিচ্ছেন ঠিকই, তবে ‘ব্রিট কার্ড’-এর ধরন একটু আলাদা হবে। ওই মুখপাত্র জানান, ব্রিট কার্ড-এ কারও কাছ থেকে বায়োমেট্রিক তথ্য নেওয়া হবে না। ‘দ্য গার্ডিয়ান’ ব্রিটিশ সরকারের একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, অবৈধ অভিবাসীদের চিহ্নিত করতে কেবল ব্রিটেনের চাকরিজীবীদের জন্যই এই কার্ড বাধ্যতামূলক করা হবে।