হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি ছাত্রদের ভর্তির ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তা নিয়ে বিতর্কের আবহে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুরনো সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করল আমেরিকার একটি আদালত। কোনও কারণ ছাড়াই বিদেশি ছাত্রদের ভিসা বাতিল করা হচ্ছে বলে যে অভিযোগ উঠেছিল, তার ভিত্তিতে দায়ের হওয়া একটি মামলায় আদালত জানাল, এ ভাবে ভিসা বাতিল করা যাবে না। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সেই সিদ্ধান্ত সাময়িক ভাবে আটকে দিল আদালত।
বৃহস্পতিবার ওকল্যান্ডের জেলা আদালতের বিচারক জেফরি এস হোয়াইট একটি অন্তর্বর্তী নির্দেশ জারি করেছেন। সংবাদ সংস্থা ‘অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিচারক জানিয়ে দিয়েছেন, মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত শুধুমাত্র ভিসা দেখে কোনও বিদেশি পড়ুয়ার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না। তাঁদের গ্রেফতার করা যাবে না। অন্য কোথাও স্থানান্তরিতও করা যাবে না তাঁদের। তবে হ্যাঁ, তাঁরা যদি কোনও ফৌজদারি অপরাধে জড়িয়ে পড়েন, সে ক্ষেত্রে তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা যাবে। বাতিল করা যাবে তাঁদের ভিসাও।
ঘটনাচক্রে, আদালতের ওই নির্দেশের ঠিক কয়েক ঘণ্টা আগেই ট্রাম্প প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বিদেশি পড়ুয়াদের আর ভর্তি নিতে পারবে না হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন যে সব বিদেশি পড়ুয়া রয়েছেন, তাঁদেরও দ্রুত অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে হবে। নয়তো তাঁদের ভিসা বাতিল করা হবে। ট্রাম্পের ওই সিদ্ধান্তের পর স্বাভাবিক ভাবেই বিপাকে বিপাকে হাজার হাজার বিদেশি পড়ুয়া। পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি বছর হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬,৮০০ বিদেশি পড়ুয়া ভর্তি হন। তাঁদের মধ্য রয়েছেন ভারতীয়ও। বেশির ভাগ পড়ুয়াই স্নাতক স্তরে ভর্তি হন। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের প্রভাব তাঁদের ভবিষ্যতে পড়তে চলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
যদিও অনেকের মত, ওকল্যান্ডের জেলা আদালতের নির্দেশের কারণে ট্রাম্প প্রশাসন হার্ভার্ডে বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে পারবে না। হার্ভার্ডে বিদেশি ছাত্রদের ভর্তি নিয়ে আদালত সরাসরি কোনও নির্দেশ না দিলেও, অনেকে মনে করছেন, ওই নির্দেশের বিস্তার এতটাই বেশি যে, ট্রাম্প সরকার চাইলেও বিদেশি পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না। তাঁরা যে প্রতিষ্ঠানেরই হোক না কেন!