সীমান্ত-সংঘাতে উত্তপ্ত তাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া। বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা। স্থানীয় সূত্রে খবর, কম্বোডিয়ায় এ দিন আরও ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল ৩২। আহতের সংখ্যা ৭০। প্রাণহানি ঘটেছে তাইল্যান্ডেও। ১৩ জন সাধারণ নাগরিক ও ৬ সেনার মৃত্যু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ‘অবিলম্বে সংঘর্ষবিরতি’র দাবি জানাল কম্বোডিয়া। রাষ্ট্রপুঞ্জের সঙ্গে একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠকে এ কথা জানিয়েছে সে দেশের প্রতিনিধিদল। শোনা যাচ্ছে তাইল্যান্ডও আলোচনায় আগ্রহী।
দু’দেশের মধ্যে সীমান্ত নিয়ে বিবাদ রয়েছে। এ বছর ফেব্রুয়ারি মাস থেকে পরিস্থিতি জটিল হতে শুরু করে। কিন্তু ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে এক তাই-সেনার আহত হওয়ার ঘটনা ঘিরে বৃহস্পতিবার থেকে সংঘাত চরম আকার নেয়। ট্যাঙ্ক, স্থলবাহিনী নেমে পড়ে। আকাশ দখল করে যুদ্ধবিমান। তাইল্যান্ডের সীমান্তবর্তী এলাকা ছেড়ে পালান অন্তত দেড় ১ লক্ষ মানুষ। যুদ্ধ ঘোষণা করার হুমকি দেন তাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ফুথাম উইচায়াচাই। গত কাল তিনি বলেন, ‘‘উত্তেজনা আরও বাড়লে যুদ্ধ ঘোষণা করা হতে পারে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘বিষয়টা মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে তাই-সেনাকে পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’
তবে গত কাল রাতের দিকে শোনা গিয়েছিল, মালয়েশিয়ার হস্তক্ষেপে সংঘর্ষ বিরতির আলোচনায় বসতে পারে তাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া। বিষয়টি নিয়ে বৈঠক ডেকেছিল রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ। সেখানেই শেষমেশ দু’পক্ষ জানিয়েছে, তারা সংঘাত মেটাতে রাজি। রাষ্ট্রপুঞ্জে কম্বোডিয়ার দূত চিয়া কেও বলেন, ‘‘আমরা অবিলম্বে সংঘর্ষ বিরতি চাই... তবে শর্তহীন ভাবে। সেই সঙ্গে সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানও চাই।’’ শোনা যাচ্ছে, তাইল্যান্ডও আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। যদিও দু’পক্ষ থেকেই হামলা এখনও জারি রয়েছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)