—প্রতীকী চিত্র।
সিদ্ধান্তটা সঠিক ছিল, কিন্তু সহজ ছিল না— কানাডার পার্লামেন্টে খলিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী হরদীপ সিংহ নিজ্জরের স্মৃতিতে নীরবতা পালন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এই উত্তরই দিয়েছেন কানাডার উপপ্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড।
সম্প্রতি একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়, যেখানে ক্রিস্টিয়াকে প্রশ্ন করছেন এক সাংবাদিক। জানতে চাইছেন, যে নিজ্জরের উপরে উড়ানে নিষেধাজ্ঞা ছিল, যে নিজ্জরের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছিল, সেই নিজ্জরের জন্য পার্লামেন্টে শোক জ্ঞাপন কেন? কেনই বা সরকারের দিক থেকে অবস্থানের এই হঠাৎ পরিবর্তন? উত্তরে ক্রিস্টিয়া বলছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর এই সিদ্ধান্ত সঠিক সিদ্ধান্ত, তবে চ্যালেঞ্জিং বটে। নিজ্জরের মৃত্যুতে পার্লামেন্ট শোক পালন করেছে এই কারণে যে, কানাডার মাটিতে কানাডার এক নাগরিককে হত্যা করা হয়েছে।’’ অর্থাৎ ক্রিস্টিয়ার বক্তব্য, নিজ্জরের মৃত্যুতে পার্লামেন্টের শোক প্রস্তাব ব্যক্তি নিজ্জরের জন্য নয়, কানাডার মাটিতে কানাডার নাগরিককে হত্যার প্রতিবাদে। ‘‘এই হত্যা কোনও ভাবেই সমর্থনযোগ্য নয় এবং সেটা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য নীরবতা পালন জরুরি ছিল। আমি ট্রুডোর জন্য অত্যন্ত গর্বিত যে তিনি এই ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নিতে পেরেছেন।’’
প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবারই কানাডার ভারতীয় পার্লামেন্ট সদস্য চন্দ্র আর্য কানাডায় খলিস্তানপন্থীদের রমরমা বিষয়ে পার্লামেন্টে দাঁড়িয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। যে ভাবে খলিস্তানিদের পক্ষ থেকে ইন্দিরা গান্ধীর হত্যাকে উদ্যাপনের উপলক্ষ বলে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে, তাতে ‘অন্ধকারের শক্তি ফের শক্তিবৃদ্ধি করছে’ বলেই প্রমাণ হয়, বলেছেন চন্দ্র। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি ফিরিয়ে এনেছেন কণিষ্ক বিমান বিস্ফোরণের স্মৃতিও। ১৯৮৫ সালে এয়ার ইন্ডিয়ার ওই বিমানে হামলার পিছনেও খলিস্তানিরাই ছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy