(বাঁ দিকে) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
ইটালিতে জি৭ বৈঠকে গিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আলাদা করে দেখা করলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। বৈঠক শেষে জানালেন, কয়েকটি ‘খুব গুরুত্বপূর্ণ’ বিষয়ে ভারতের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করবে কানাডা। তবে সেই বিষয়গুলি কী কী, তা খোলসা করেননি। খলিস্তানি সন্ত্রাসবাদী হরদীপ সিংহ নিজ্জর খুনের পর কানাডার সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে যে শৈত্য দেখা দিয়েছিল, তার পর এই প্রথম দুই রাষ্ট্রনেতা পরস্পরের সঙ্গে দেখা করলেন। তাই এই বৈঠকের আলাদা তাৎপর্য রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।
জি৭ বৈঠকের শেষ দিনে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন ট্রুডো। সেখানে মোদীর সঙ্গে দেখা করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ এবং সংবেদনশীল বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সেগুলি কী, তা নিয়ে আমি এখানে কথা বলতে চাই না। তবে আগামী দিনে আমরা খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করব বলে একমত হয়েছি।’’
এর আগে শুক্রবার মোদী এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করেছিলেন। ট্রুডোর সঙ্গে হাত মেলানোর একটি ছবি দিয়ে তিনি লিখেছিলেন, ‘‘জি৭ বৈঠকে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলাম।’’
কানাডায় ট্রুডোর দফতরের মুখপাত্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকের পর জানিয়েছেন, দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে কিছু আলোচনা হয়েছে। উভয় দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে এখন। কিন্তু তা নিয়ে প্রকাশ্যে বিশদে কিছু বলতে চাইছেন না কেউ।
গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে কানাডার সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। সেই দেশে খলিস্তানি সন্ত্রাসবাদী নিজ্জরের হত্যাকাণ্ডে ভারতের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন ট্রুডো। নয়াদিল্লি সেই অভিযোগ অস্বীকার করে এবং জানায়, নিজের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য এই ধরনের মন্তব্য করছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। উভয় দেশই একে অপরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়। স্তব্ধ হয় বাণিজ্য সংক্রান্ত আলোচনাও। কানাডার পুলিশ নিজ্জরের খুনের তদন্ত করছে এবং এখনও পর্যন্ত সেই সূত্রে চার জন ভারতীয় নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy