বিস্ফোরণস্থলের ছবি এএফপির সৌজন্যে।
হিংসায় ফিরল ইরাক। বুধবার, বাগদাদ প্রদেশের সাদর শহরে গাড়িবোমা বিস্ফোরণে প্রাণ হারালেন অন্তত ৫০ জন। আহত হয়েছেন অন্তত ৬০ জন। আহতদের মধ্যে বেশির ভাগের অবস্থাই আশঙ্কাজনক বলে ইরাকের সরকারী সূত্রে খবর। ফলে নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। ইসলামিক স্টেট (আইএস) এই বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেছে।
এ দিন ব্যস্ত সময়ে সাদর শহরের একটি বিউটি পার্লারের কাছে পার্ক করা একটি বিস্ফোরক বোঝাই এসইউভি-তে বিস্ফোরণ হয়। চারদিক কালো ধোঁয়ায় ভরে যায়। নিহতদের মধ্যে মহিলা ও শিশুরাও রয়েছে।
সাদর শহরে শিয়ারা সংখ্যাগুরু। তাই সুন্নি জঙ্গি সংগঠন আইএস বেশ কয়েকটি হামলার লক্ষ্য ছিল বাগদাদের এই শহর। গত ফেব্রুয়ারিতেই এই শহরে দু’টি আত্মঘাতী বিস্ফোরণে ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তবে ২০১১-এ মার্কিন সেনা ইরাক ছাড়ার পরে বাগদাদ জুড়ে যে বোমা বিস্ফোরণের জোয়ার এসেছিল তা অনেকটাই এখন কমেছে। মসুল ছাড়া ইরাকের বড় কোনও শহরের নিয়ন্ত্রণ আইএসের হাতে নেই। ক্রমে ক্ষীয়মান আইএস নিজের অস্তিত্ব জাহির করতে তাই আবার সাদর শহরকে বেছে নিয়েছে।
রাজনৈতিক ভাবে অস্থির পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে চলেছে ইরাক। কয়েক সপ্তাহ আগে মন্ত্রিসভার সংস্কার নিয়ে ঐক্যমতে পৌঁছতে ব্যর্থ হওয়ায় শিয়া ধর্মীয় নেতা মুকতাদা আল-সাদারের দলবল ইরাকের পার্লামেন্ট দখল করে লুটপাট চালায়। পরে হায়দার আল-আবিদি সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় তারা নিরস্ত হয়। অনেকেই মনে করেন পূর্বতন ইরান ঘনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী মালিকি মন্ত্রিসভার মধ্যে অস্থিরতা তৈরি করছেন। মন্ত্রিসভার মধ্যে এই টানাপড়েনের মাঝেই এ দিনের হামলা।
শিয়া-সুন্নির মধ্যে ভেদাভেদ বাড়ানোই হামলার অন্যতম লক্ষ্য। এর পরে রক্তক্ষয়ী গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হলে মার্কিন নেতৃত্বে আইএস-এর বিরুদ্ধে যৌথ প্রতিরোধ গড়ে তোলার ব্যাপারটি কঠিন হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy