অ্যাকোয়ারিয়াম চত্বরে ধূমপান করা নিষেধ। চারদিকে সেই সতর্কবাতা লিখে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কিন্তু নিয়মকানুন মানার বালাই নেই তরুণের। অ্যাকোয়ারিয়ামের পুলের সামনে দাঁড়িয়েই সিগারেট ধরিয়ে ফেললেন তিনি। অ্যাকোয়ারিয়ামের এক কর্মী সেই তরুণকে বারণ করতে এগিয়ে গেলেন। কিন্তু ধৈর্য ধরে রাখতে পারল না বেলুগা তিমি। পুলের মধ্যে সাঁতার কেটে ঘোরাফেরা করছিল সে।
তরুণের হাতে সিগারেট দেখে সে পুল থেকে জল মুখে তুলে তরুণকে লক্ষ করে ফোয়ারার মতো ছিটিয়ে দিল। এর ফলে তরুণ তো ভিজে গেলেনই, তবে বেলুগা তিমির আসল লক্ষ্যও পূরণ হল। জল ঢেলে তরুণের হাতে ধরা থাকা সিগারেট নিবিয়ে ফেলল সে। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় এমনই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
আরও পড়ুন:
‘চিনা ইন পিকচার্স’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলের পাতায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে, এক বেলুগা তিমি অ্যাকোয়ারিয়ামের পুলে সাঁতার কাটছিল। সেই পুলের ধারে দাঁড়িয়ে সিগারেট ধরিয়েছিলেন এক তরুণ। অ্যাকোয়ারিয়াম চত্বরে ধূমপান করা নিষেধ। তা সত্ত্বেও তরুণ সিগারেট ধরিয়েছিলেন। তা দেখে বেলুগা তিমিটি গেল খেপে।
তরুণকে ধূমপান করতে দেখে অ্যাকোয়ারিয়ামের এক কর্মী বাধা দিতে এগিয়ে গেলেন। কিন্তু ধৈর্যে কুলোল না তিমির। পুল থেকে মুখে জল তুলে ফোয়ারার মতো তরুণের দিকে ছিটিয়ে দিল সে।
তরুণ সম্পূর্ণ ভিজে গেলেন। তাঁর হাতে ধরা সিগারেটও নিবে গেল। এই ঘটনাটি সম্প্রতি চিনের ডালিয়ান সিটির এক অ্যাকোয়ারিয়ামে ঘটেছে। অ্যাকোয়ারিয়াম কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয় যে, পর্যটকদের সতর্ক করতে এই দৃশ্যটি পারফর্ম করা হয়েছে। বেলুগা তিমিটিকে আগে থেকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। কর্তৃপক্ষের এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন নেটাগরিকদের অধিকাংশ। এক জন এই প্রসঙ্গে লিখেছেন, ‘‘যেখানে ধূমপানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, সেখানে নিয়ম পালন করা প্রয়োজন। বেলুগা তিমির মাধ্যমে খুব ভাল বার্তা দেওয়া হয়েছে। ভিডিয়োটি খুব মজারও।’’
আরও পড়ুন:
বেলুগা তিমিদের সাধারণত সুমেরু অঞ্চলের দূর সমুদ্রেই দেখা যায়। নির্জনে থাকতেই পছন্দ করে বেলুগারা। বেলুগারা সাদা তিমি নামেও পরিচিত। কণ্ঠের আওয়াজ বা ডাকের জন্য এরা বিখ্যাত। পূর্ণবয়স্ক বেলুগা তিমির সারা শরীর সাদা হলেও বাচ্চা অবস্থায় গায়ের রং থাকে গাঢ় ধূসর। মাথা সামনের দিকে উঁচু।