দিল্লি থেকে ট্রেনে চেপে উদয়পুর যাচ্ছিলেন এক তরুণী। গভীর রাতে সেই ট্রেনটি তরুণীর বাড়ির নিকটবর্তী রেলস্টেশন পার করে যাবে। কিন্তু সেই রেলস্টেশনে মাত্র দু’মিনিটের জন্য দাঁড়াবে ট্রেনটি। মেয়ের সঙ্গে দেখা করার এই সুবর্ণসুযোগ হাতছাড়া করলেন না তাঁর বাবা। গভীর রাতেও মেয়েকে এক ঝলক দেখার জন্য প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। মেয়ের জন্য ব্যাগভর্তি খাবারও এনেছিলেন। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় এমনই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
আরও পড়ুন:
‘গরি.মা’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে ইনস্টাগ্রামের পাতায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে, এক প্রৌঢ় খাবারভর্তি ব্যাগ নিয়ে গভীর রাতে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। ট্রেনটি প্ল্যাটফর্মে ঢোকার সময় এই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করেন প্রৌঢ়ের কন্যা। ভিডিয়ো থেকে জানা গিয়েছে যে, ওই প্রৌঢ়ের কন্যার নাম গরিমা লুথরা। কাজের সূত্রে নয়ডায় থাকেন তিনি। দিল্লি থেকে ট্রেনে চেপে উদয়পুর যাচ্ছিলেন গরিমা। দিল্লি থেকে উদয়পুর যাওয়ার পথেই পড়ে গরিমার বাড়ি।
আরও পড়ুন:
তবে, রাত ১১টার সময় বাড়ির কাছের স্টেশনে ঢুকবে তাঁর ট্রেনটি। তা জানার পর মেয়েকে এক ঝলক দেখার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইলেন না গরিমার বাবা। গভীর রাতেও স্টেশনে মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে ছুটে চলে গেলেন তিনি। অথচ তাঁদের হাতে বেশি সময়ও ছিল না। কারণ, সেই নির্দিষ্ট স্টেশনে ট্রেনটি মাত্র দু’মিনিট দাঁড়ায়।
পিতা-কন্যার কাছে সেই দু’মিনিটও এক যুগের সমতুল্য। ওইটুকু সময়ের মধ্যেই মেয়ের হাতে খাবারভর্তি ব্যাগ ধরিয়ে দিলেন প্রৌঢ়। দু’মিনিটের মধ্যেও মেয়ের যত্ন নেওয়ার কথা ভুললেন না তিনি। ভিডিয়োটি পোস্ট করে গরিমা লিখেছেন, ‘‘পৃথিবীতে একমাত্র বাবা-মায়েরাই রয়েছেন, যাঁরা কোনও শর্ত ছাড়াই ভালবাসতে পারেন। অন্য কেউ এমন করবেন না।’’