ফাইল চিত্র।
বললেন সবই, শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণাটুকু বলেকয়েই বাকি রাখলেন। আলাপ-আলোচনার জমি ছেড়ে রেখে বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, দায়িত্বশীলতায় পিছিয়ে নেই ওঁরা।
স্পেনের তরফে স্বায়ত্তশাসন কেড়ে নেওয়ার হুমকির মুখেই আজ ক্যাটালনের স্বাধীনতা ঘোষণা করতে বার্সেলোনার প্রাদেশিক পার্লামেন্টে এসেছিলেন ক্যাটালনের প্রাদেশিক প্রেসিডেন্ট কার্ল পুইদমেঁ। সেখানেই তিনি বললেন, গণভোটে তাঁরা স্বাধীনতা ঘোষণার অধিকার জিতে নিয়েছেন। স্বাধীনতার পথ থেকে পিছিয়ে আসার প্রশ্নও নেই। তবু পুইদমেঁ-র সতর্কবার্তা, ‘‘আমি পার্লামেন্টকে অনুরোধ করব, স্বাধীনতার ঘোষণাটি একটু স্থগিত রাখতে। তা হলে আমরা এক বার আলাপ-আলোচনায় যেতে পারি।’’
কী ধরনের আলোচনা চাইছেন পুঁইদমে? কোনও রফাসূত্রে আসতে চাইছেন কি? পুঁইদমে-র বক্তব্য, তাঁরা স্পেনকে নিজেদের দাবিদাওয়ার যৌক্তিকতা বোঝাতে চাইছেন। শান্তিপূর্ণ বিচ্ছেদ চাইছেন স্পেনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেই। এ দিন তাঁর দীর্ঘ বক্তৃতার শেষ পর্যায়ে ক্যাটালন থেকে স্প্যানিশ ভাষায় সরে এসে প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘আমরা দুষ্কৃতী নই। পাগল নই। আমরা স্বাভাবিক মানুষ, শুধু ভোট দিতে চেয়েছিলাম।’’ তাঁর আরও দাবি, ‘‘স্পেনের প্রতি আমাদের কোনও বিরোধিতা নেই। শুধু আমাদের সম্পর্কটা অনেক দিন ধরেই কাজ করছে না। এখন এটা বয়ে চলার সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে।’’
গোটা পার্লামেন্ট চত্বর জুড়েই এ দিন ছিল নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা। আটঘাট বেঁধে কী ভাবে এগোতে হবে, তা সুনিশ্চিত করতে আজ দিনের শুরুতেই ক্যাবিনেট বৈঠক ডাকেন পুইদমেঁ। বার্সেলোনা নিজে থেকে আজ স্বাধীনতা ঘোষণা করলেও তা মানা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েই রেখেছে মাদ্রিদ। অনেকে মনে করছেন, দেশদ্রোহের অভিযোগে ক্যাটালনের সব নেতাকে জেলে পোরা হতে পারে আশঙ্কা করেই আজ আলোচনার উপরে জোর দিলেন পুঁইদমে। বিশেষজ্ঞদের কপালে ভাঁজ দেশের অর্থনীতির কথা ভেবেও। কারণ, দেশভাগের আশঙ্কায় এরই মধ্যে ক্যাটালন থেকে নিজেদের দফতর গুটিয়ে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে স্পেনের বেশ কয়েকটি প্রথম সারির ব্যাঙ্ক ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। এই মুহূর্তে স্বায়ত্তশাসিত কোনও হোটেলই পর্যটকদের বুকিং নিতে চাইছে না। লা লিগার বিখ্যাত ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনার কী হবে, জল্পনা চলছে তা নিয়েও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy