মহিষাসুরমর্দিনীর কাহিনি অনুযায়ী, অনেক দেবতার সহায়তায় মা দুর্গার সৃষ্টি হয় মহিষাসুরকে বধ করার জন্য। আর সেই বিজয়কেই স্মরণ করে দুর্গাপুজোর উদ্যাপন হয়। মা দুর্গার কাছ থেকে আমরা শক্তি ও সাহস চাই, যাতে আমরা ন্যায়ের জন্য সংগ্রাম করতে পারি। যাতে আমরা মনুষ্যত্বকে ধরে রাখতে পারি।
একটা অতি দুঃখজনক, মর্মান্তিক আর্তনাদে সম্প্রতি কলকাতা কেঁপে উঠেছে। যার পরে আমাদের ডাক্তার ভাই-বোনেদের একটি নতুন রূপ দেখতে পেয়েছি। তাঁদের মানুষের সেবা করার রূপের কথা তো সবাই জানি, কিন্তু এ বার যেন তাঁরা মহামানব-মানবীর বেশে আমাদের মানবতার পাঠ পড়াচ্ছেন। তাঁদের মাধ্যমে আমরা নতুন করে প্রতিবাদ করতে শিখেছি, সামাজিক সচেতনতা বেড়েছে আর আমাদের সবারই মধ্যে অনেক আশাও প্রকট হয়েছে। আমরা চাই এ বার একটা পরিবর্তন আনতে। আর আমাদের সব সমর্থন তাঁদের সঙ্গে।
দেশ থেকে কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরে থেকেও আমরা সব সময় দেশের পাশে থেকেছি আর দেশের জন্য কত তর্ক-বিতর্ক করেছি। এ ঘটনার প্রতিবাদও তাই কোনও ব্যতিক্রম নয়। আর জি কর-এর ঘটনা আমাদের মনে করিয়ে দেয় সেই সব সাধারণ নারীকে, যাঁরা সংগ্রাম করে চলেছেন জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে। কেউ বেঁচে থাকার লড়াই লড়ে চলেছেন, আর কেউ হয়তো সমাজে একটু স্থান পাওয়ার জন্য লড়ছেন। তাই এ বছর আমাদের থিম, সেই সব নারীকে যথাযথ সম্মান দেওয়া— আমাদের এ বছরের থিম হল— ‘সাধারণী নমস্তুতে’।
এ বার মায়ের কাছে আমাদের একটি মাত্র চাওয়া— শান্তি।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)