গত বছরের ১৮ জুন অতলান্তিক মহাসাগরের অতলে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল ডুবোজাহাজ টাইটান। পরে ওই ডুবোজাহাজের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া যায়। সম্প্রতি আমেরিকার উপকূলরক্ষী বাহিনী ২০ সেকেন্ডের একটি অডিয়ো প্রকাশ্যে এনেছে। সেই অডিয়োয় ধরা পড়েছে মহাসাগরের গভীরে প্রবল শব্দ। মনে করা হচ্ছে জলের চাপে টাইটান ডুবে যাওয়ার আগের মুহূর্তে এমন শব্দ তৈরি হয়েছিল।
অতলান্তিক মহাসাগরে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিল টাইটান ডুবোযান। মারা গিয়েছেন পাঁচ আরোহী। কানাডার পূর্বে নিউ ফাউন্ডল্যান্ডের উপকূলে জাহাজ থেকে অতলান্তিকের গভীরে ডুব দিয়েছিল টাইটান। মহাসাগরের গভীরে যেখানে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে, অভিযাত্রীদের সেই জায়গা ঘুরে দেখায় টাইটান। ওশানগেট সংস্থার তৈরি ওই ডুবোযান গত ১৮ জুন পাঁচ যাত্রীকে নিয়ে সমুদ্রের ১৩ হাজার ফুট গভীরে নেমেছিল। যাত্রা শুরুর ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পর থেকেই নিখোঁজ হয়ে যায় টাইটান। নিখোঁজ ডুবোজাহাজ উদ্ধারের কাজে নেমেছিল আমেরিকা এবং কানাডার উপকূলরক্ষী বাহিনী। উত্তর অতলান্তিক মহাসাগরে চলছিল খোঁজ। উপকূলরক্ষী এবং বিমানবাহিনীর সঙ্গে তল্লাশিতে নেমেছিল রোবটও। এই রোবটই টাইটানিকের কাছেই একটি অন্য যানের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায় এবং পরে আমেরিকার উপকূলরক্ষী বাহিনী সেটিকে টাইটানের ধ্বংসাবশেষ বলেই চিহ্নিত করে।
আরও পড়ুন:
ডুবোযানটিতে ছিলেন ব্রিটেনের কোটিপতি ব্যবসায়ী হামিশ হার্ডিং, পাকিস্তানের ব্যবসায়ী শাহজ়াদা দাউদ এবং তাঁর পুত্র সুলেমান, ওশানগেট সংস্থার মুখ্য আধিকারিক স্টকটন রাশ এবং ফরাসি নাবিক পল হেনরি নারজিওলেট। পাঁচ জনেরই মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার পরেই ছোট ডুবোযান টাইটানের পরিকাঠামো এবং পরিচালন পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। বিতর্কের মধ্যেই পরিচালক সংস্থাটি তাদের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দিয়ে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাওয়ার আহ্বান জানায়। তার খরচ ধার্য করা হয়েছিল ২ লক্ষ ৫০ হাজার ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২ কোটি টাকা। যদিও ওই দুর্ঘটনার পরে আর কেউই টাইটানে চেপে অতলান্তিকের অতলান্তে যেতে চাননি। তবে সেই বিজ্ঞাপন নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধে।