ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়ের মাকরঁ ও চিনা প্রেমিয়ার লি কে কিয়াং। ছবি: এপি
প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে আমেরিকা বেরিয়ে যাওয়ার পরে একটি যৌথ বিবৃতি দিয়ে চিন ও ফ্রান্স জানাল, এই চুক্তি ‘অপরিবর্তনীয়’। জলবায়ু সঙ্কটের মোকাবিলায় এই চুক্তি মেনে চলা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।
২০১৫-র নভেম্বর-ডিসেম্বরে প্যারিসে রাষ্ট্রপুঞ্জের জলবায়ু সম্মেলনে এই চুক্তির প্রস্তাব রাখা হয়। প্রস্তাব চূড়ান্ত হয় পরের বছর ২২ এপ্রিল। আমেরিকার তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী জন কেরি এই প্রস্তাবে সই করেন ২০১৬-র ৪ নভেম্বর। ২০১৯-এর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৯৪টি রাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই চুক্তিতে সই করেছে। কিন্তু ২০১৭-র ১ জুন নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, বারাক ওবামার আমলে করা এই প্যারিস চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাবে আমেরিকা। ট্রাম্পের যুক্তি ছিল, এই চুক্তির ফলে মার্কিন ব্যবসা এবং অর্থনীতি মার খাচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী, এই চুক্তিতে সই করার তিন বছরের মধ্যে কোনও দেশ চুক্তি ছেড়ে বেরিয়ে যেতে পারবে না। তাই ট্রাম্প জানান, ২০১৯-এর ৪ নভেম্বরই চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাবে আমেরিকা। তার পরে গতকাল আমেরিকা আনুষ্ঠানিক নথি পাঠিয়ে দেয় রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিবকে।
আমেরিকার এই পদক্ষেপের পরে আজ একটি লিখিত যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেছেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ। আমেরিকার নাম না-করে এই বিবৃতিতে বলা হয়েছে ‘‘অন্যরা যে পথ বেছে নিয়েছে তা নিন্দনীয়।’’ তাঁর দ্বিতীয় চিন সফরে এখন বেজিংয়ে রয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট। চিনফিংকে পাশে বসিয়ে মাকরঁ এক সাংবাদিক বৈঠকে এ দিন বলেন, ‘‘ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশ এবং রাশিয়া ও চিনের মতো রাষ্ট্র এই চুক্তিকে সমর্থন করলে আমরা যৌথভাবে পৃথিবীকে রক্ষা করতে পারব। কোনও জাতির স্বার্থ সমগ্র মানবজাতির স্বার্থের থেকে বড় হতে পারে না।’’
আজ দিল্লিতে এক জলবায়ু সম্মেলনে ‘জলবায়ু জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করলেন ১৫৩ দেশের ১১ হাজারেরও বেশি বিজ্ঞানী। ভারতের ৬৯ জন-সহ মোট ১১,২৫৮ বিজ্ঞানী আর্জি জানিয়েছেন, জলবায়ু রক্ষায় দ্রুত ও কার্যকরী ব্যবস্থা নিক প্রতিটি দেশ। একটি পত্রিকায় প্রকাশিত নিবন্ধে বিজ্ঞানীরা জানান, ৪০ বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করে তাঁরা দেখেছেন, আগে যা ভাবা হয়েছিল তার থেকে অনেক দ্রুত এবং অনেক বেশি ব্যাপক হারে জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy