আগামী ৩ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় চিন-জাপান যুদ্ধে বিজয়ের ৮০তম বার্ষিকী পালন করবে শি জিনপিং সরকার। সেই উপলক্ষে বেজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কোয়্যারে হবে এক অভূতপূর্ব সামরিক শক্তি প্রদর্শনের আয়োজন। চিনের সরকারি মুখপত্র জ়িনহুয়া সোমবার জানিয়েছে, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী বিজয় অর্জনের বার্তা দিতে ‘পিপল্স লিবারেশন আর্মি’ (পিএলএ) বিভিন্ন নতুন অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম প্রদর্শিত হবে তিয়েনআনমেন স্কোয়ারের কুচকাওয়াজে।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াংয়ের ভারত সফরের সময়ই এমন সামরিক শক্তি প্রদর্শনের বার্তা এল বেজিং থেকে। প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে একদলীয় চিনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি এবং রাষ্ট্রের শীর্ষ নেতা হওয়ার পর থেকে এই নিয়ে তৃতীয় বার জিনপিং তিয়েনআনমেন স্কোয়্যারে সামরিক কুচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণ করবেন।
কুচকাওয়াজের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হবে চারটি নতুন জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র (অ্যান্টি-শিপ মিসাইল) প্রদর্শন— এর মধ্যে ওয়াইজে-২০, ওয়াইজে-১৯, ওয়াইজে-১৭-র মতো স্ক্র্যামজেট ইঞ্জিনযুক্ত হাইপারসনিক (শব্দের চেয়ে পাঁচগুণ বা তার বেশি গতিবেগ সম্পন্ন) ক্ষেপণাস্ত্র এবং অত্যাধুনিক ড্রোন থাকবে।
এ ছাড়া থাকছে জাহাজ বিধ্বংসী সুপারসনিক (শব্দের চেয়ে বেশি গতিবেগ সম্পন্ন) ওয়াইজে-১৫ ক্ষেপণাস্ত্র। প্রসঙ্গত, ওয়াইজে-২০ ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি চিনা টাপপ-৫৫ ডেস্ট্রয়ার থেকে ছোড়া যায়। এটি শত্রুপক্ষের বিমানবাহী রণতরী (এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ার)-ও ধ্বংস করতে সক্ষম। তাই সামরিক পরিভাষায় একে ‘ক্যারিয়ার কিলার’। এ ছাড়া ৩ সেপ্টেম্বর তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে প্রদর্শিত হবে, ওয়াইজে-১২, ওয়াইজে-১৮ এবং ওয়াইজে-৮৩ ক্ষেপণাস্ত্রের এক অভূতপূর্ব ‘কম্বিনেশন’। সবগুলি ক্ষেপণাস্ত্রই যুদ্ধজাহাজ থেকে ছোড়া যায়। বিশ্বের আর কোনও দেশের কাছে এ ধরনের বহুমাত্রিক সক্ষমতা নেই বলে চিনা সরকারি সংবাদমাধ্যমের দাবি। জিনহুয়া জানিয়েছে, সব মিলিয়ে ৪০ হাজার সেনা অংশ নেবেন সোমবারের কুচকাওয়াজে।