প্রতীকী ছবি
আমেরিকা ছাড়া কেউ সরাসরি কোভিড সংক্রমণের জন্য বেজিংকে দোষারোপ করেনি ঠিকই। কিন্তু আন্তর্জাতিক স্তরে চিনের ভাবমূর্তি যথেষ্ট ধাক্কা খেয়েছে বলেই মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা। হইহই করে মহাযোগাযোগ প্রকল্প ওবর-এর সূচনা করা হয়েছিল চিনের পক্ষ থেকে। কিন্তু গোটা ২০২০ সালে তা থমকে থেকেছে। এ বার নতুন বছরে গা ঝাড়া দিয়ে উঠে চিন তাই ফের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়ানোর রাস্তাটি প্রশস্ত করার কৌশল নিচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
সম্প্রতি ওবর সংক্রান্ত একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছে চিন। সেখানে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার দিক-নির্দেশ দেওয়া রয়েছে। শুধুমাত্র কোভিড-ই নয়, শ্রীলঙ্কা-সহ বেশ কিছু রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কে তিক্ততা তৈরি হয়েছে অর্থনৈতিক কারণে। সেই দেশগুলির বক্তব্য, চিনা ঋণের ফাঁদে পড়ে গিয়েছে তারা। তাই সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের জন্য এ বার সক্রিয় হতে দেখা যাবে শি চিনফিং সরকারকে।
সূত্রের মতে, ৮টি পর্বে বিভক্ত এই ধরনের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা সম্পর্কিত শ্বেতপত্র এর আগে কখনও প্রকাশ করতে দেখা যায়নি চিনকে। এর থেকেই প্রমাণিত, কিছুটা চাপেই রয়েছে তারা। শ্বেতপত্রটিতে বিস্তারিত ভাবে বলা রয়েছে কোনও দেশের সঙ্গে কী ভাবে নিজেদের মহাযোগাযোগ প্রকল্পকে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে দাবি করা হয়েছে, রাষ্ট্রপুঞ্জের ২০৩০ সালের উন্নয়ন কর্মসূচিতে চিন বড় মাপের অবদান রাখবে। পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশগুলিতে দরাজ অনুদানও দেবে। শ্বেতপত্রে দাবি করা হয়েছে গত কয়েক বছরে অন্য দেশের সঙ্গে প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে তাদের সমস্ত আবিষ্কার ভাগ করে নেওয়া হয়েছে। উপগ্রহ গবেষণা ক্ষেত্রে ১০০টিরও বেশি দেশের প্রায় ৮ হাজার ব্যক্তিকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে এই চিনা শ্বেতপত্রটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy