—ফাইল চিত্র।
আগামী ৯ তারিখের পূর্বনির্ধারিত ভারত-চিন সীমান্ত বৈঠক স্থগিত হওয়া নিয়ে দেখা গিয়েছে বিতর্ক। ওই বৈঠক পিছোনোর অর্থ, অক্টোবরে দাক্ষিণাত্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিংয়ের ঘরোয়া সংলাপের আগে আর সীমান্ত-আলোচনা হচ্ছে না।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, অরুণাচলের আনজাও জেলায় চিনা সেনা একটি নালার উপরে কাঠের সেতু বানিয়েছে বলে আজই অভিযোগ তুলেছেন সেই রাজ্যের বিজেপি সাংসদ তাপির গাও। যদিও ভারতীয় সেনার বক্তব্য, কোনও অনুপ্রবেশ ঘটেনি। সেনার
এক মুখপাত্র বলেছেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর কিছু বিতর্কিত এলাকায় দুই দেশের সেনাই টহল দেয়। টহলদারি দলই অনেক সময়ে সেতু বানায়। অরুণাচলের চাগলাগামের অদূরে সংশ্লিষ্ট এলাকাটিতে ভারতীয় সেনার নিয়মিত নজর রয়েছে।
সেখানে চিনের কোনও সেনা বা অসামরিক ব্যক্তির স্থায়ী উপস্থিতির প্রমাণ মেলেনি।
চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই এবং ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের ৯ তারিখের বৈঠক বাতিলের কারণ হিসেবে সরকারি ভাবে তারিখের গরমিলের কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু এই ধরনের বৈঠক অনেক আগে থেকেই স্থির হয়। ৩৭০ পর্বের পরে এটিই হতে চলেছিল চিনা বিদেশমন্ত্রীর প্রথম ভারত সফর। কূটনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, সাউথ ব্লক এখন সীমান্ত আলোচনায় কিছুটা ‘ধীরে চলো’ নীতি নিতে চাইছে। বিদেশ মন্ত্রকের অনুমান, এখন সীমান্ত আলোচনা হলে কাশ্মীর
তাতে ছায়া ফেলতই। ফলে চিনফিং আসার আগে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক রাহুগ্রস্ত হতে পারত। রাষ্ট্রপুঞ্জের আসন্ন সাধারণ অধিবেশনের আগে যা কাম্য নয় নয়াদিল্লির।
সরকারের বক্তব্য, দু’দেশ একসঙ্গে স্থির করবে, পরবর্তী সীমান্ত-বৈঠক কবে হবে। অবশ্য একটি বিষয় আছে। ভারতে বৈঠক সেরেই ইসলামাবাদে গিয়ে কাবুলের শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে চিন-পাকিস্তান-আফগানিস্তান ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে যোগ দেওয়ার
কথা ছিল ওয়াং ই-র। পাকিস্তানকে একই সফর-বন্ধনীতে রাখা নিয়ে দিল্লির আপত্তি সত্ত্বেও এই কূটনৈতিক খোঁচা দিচ্ছিল চিন। ভারতীয় নেতৃত্ব তা পছন্দ করেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy