দক্ষিণ চিন সাগরে যুদ্ধের মহড়া দিল চিনের নৌবাহিনী। যুদ্ধজাহাজ, সাবমেরিন, যুদ্ধবিমান, ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে দু’দলে ভাগ হয়ে পুরোদস্তুর যুদ্ধেরই আয়োজন করল বেজিং। প্রত্যাশিতভাবেই কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে আমেরিকা। মার্কিন নৌবাহিনীর তরফে সতর্কবার্তা দিয়ে বলা হয়েছে, চিনের এই শক্তিপ্রদর্শনের চেষ্টা দক্ষিণ চিন সাগরে অস্ত্রের প্রতিযোগিতা বাড়িয়ে তুলবে।
চিনের এই সামরিক মহড়া কিন্তু ভারতের মহড়ার ঠিক পর পরই হল। ১৫ ডিসেম্বর ভারত মহাসাগরে নৌ-যুদ্ধের মহড়া দিয়েছিল ভারত। কম্বাইন্ড কম্যান্ডারস’ কনফারেন্স উপলক্ষে ভারতীয় নৌসেনার এয়াক্র্যাফট ক্যারিয়ার আইএনএস বিক্রমাদিত্যে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভারত মহাসাগরের বুকে তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে মোদীর সেই বৈঠকের পরই যুদ্ধের মহড়া শুরু করে ভারতীয় নৌসেনা। যুদ্ধজাহাজ, সাবমেরিন, পরমাণু যুদ্ধের মহড়া, জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ— সবই হয়েছে ভারতের এই মহড়ায়। ঠিক তার পর দিনই বিতর্কিত দক্ষিণ চিন সাগরে মহড়া দিল চিন।
আরও পড়ুন:
এ বার আরব সাগরে ঢুকছে চিন, ২০০০ একর জমি দিল পাকিস্তান
লাল ও নীল— এই দুই দলে ভাগ হয়ে চিনের নৌবাহিনী দক্ষিণ চিন সাগরে মহড়া দেয়। ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে হামলা চালানো, পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হানায় ধেয়ে আসা ক্রুজকে ধ্বংস করে দেওয়া, ফাইটার জেট থেকে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে বোমা হামলা চালানো— বুধবারের মহড়ায় এমন নানা কসরৎ দেখিয়েছে চিনের নৌবাহিনী। যে বিতর্কিত এলাকায় চিন কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করেছে, তার কাছেই কয়েক হাজার বর্গ কিলোমিটার জুড়ে চিনা নৌবাহিনীর মহড়া চলে। আমেরিকা যে এলাকাকে আন্তর্জাতিক জলভাগ বলে দাবি করছে, সেই এলাকাকে নিজেদের জলসীমা হিসেবে প্রমাণ করার তাগিদও চিনের এই মহড়ার অন্যতম কারণ। মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy