Advertisement
E-Paper

ভারত মহাসাগরে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ, তার মাঝেই মলদ্বীপে আবার জাহাজ পাঠাল ভারতের অন্য পড়শি

ভারতের পড়শি দেশ থেকে মলদ্বীপে বৃহস্পতিবার একটি জাহাজ পৌঁছেছে। গবেষণার কাজে সেই জাহাজ ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছে দেশটির বিদেশ মন্ত্রক।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:৫৫
মলদ্বীপে পৌঁছেছে বিদেশি জাহাজ।

মলদ্বীপে পৌঁছেছে বিদেশি জাহাজ। ছবি: সংগৃহীত।

মলদ্বীপে আবার জাহাজ পাঠাল চিন। বৃহস্পতিবার চিনা জাহাজটি মলদ্বীপে পৌঁছেছে। মনে করা হচ্ছে, সেটি গবেষণার কাজে ব্যবহৃত একটি জাহাজ। উল্লেখ্য, তিন মাস আগেও এমন একটি জাহাজ চিন থেকে মলদ্বীপে পাঠানো হয়েছিল। যা নিয়ে ভারত মহাসাগরে নিরাপত্তা সংক্রান্ত চিন্তা বেড়ে গিয়েছিল নয়াদিল্লির।

গত জানুয়ারি মাসে আমেরিকার পর্যবেক্ষকেরা মন্তব্য করেছিলেন, মলদ্বীপে এই ভাবে ধীরে ধীরে নৌবাহিনী মোতায়েন করতে চলেছে চিন। তারই পথ প্রশস্ত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার মলদ্বীপে চিনের যে জাহাজটি পৌঁছেছে, তার নাম শিয়াং ইয়াং হং ০৩। এটি চিনের প্রাকৃতিক সম্পদ মন্ত্রকের অধীন একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান থেকে পাঠানো হয়েছে। মাসখানেক আগে জাহাজটি দক্ষিণ চিনের বন্দর থেকে রওনা দিয়েছিল। মলদ্বীপের রাজধানী মালের সঙ্গে যোগাযোগও করে ওই প্রতিষ্ঠান।

জাহাজের গতিবিধি সংক্রান্ত পরিসংখ্যান বলছে, এই চিনা জাহাজের মলদ্বীপে পৌঁছনোর তিন সপ্তাহ আগে থেকে ভারত, মলদ্বীপ এবং শ্রীলঙ্কার সীমান্ত সংলগ্ন সমুদ্রে একটি জাহাজ টহল দিয়েছে।

মলদ্বীপে পাঠানো জাহাজ প্রসঙ্গে চিনের বিদেশ মন্ত্রক জানায়, শান্তিপূর্ণ উদ্দেশে কাজ করবে জাহাজটি। ওই জাহাজের গবেষণা, অনুসন্ধানকে বিজ্ঞানের উন্নতির কাজে লাগানো হবে।

ভারত মহাসাগরীয় এলাকায় চিনের ‘অনুপ্রবেশ’ নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই চিন্তিত নয়াদিল্লি। মলদ্বীপে সম্প্রতি চিনপন্থী শাসক ক্ষমতায় এসেছেন। ফলে ভারত মহাসাগরে প্রতিপত্তি বৃদ্ধি করতে এই দ্বীপরাষ্ট্রকে চিন কাজে লাগাতে পারে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। সেই চেষ্টা শুরুও করে দিয়েছে বেজিং। বৃহস্পতিবারের ঘটনাকে চিনের সেই পরিকল্পনার অঙ্গ বলে মনে করা হচ্ছে।

সাম্প্রতিক অতীতে মলদ্বীপের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে অবমাননাকর মন্তব্যের অভিযোগ উঠেছিল মলদ্বীপের তিন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। যাকে কেন্দ্র করে বিতর্কের ঝড় ওঠে। সমাজমাধ্যমে ‘বয়কট মলদ্বীপ’ ডাক ওঠে। মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু চিন সফরে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফিরে জানিয়ে দেন, তাদের দেশ থেকে ভারতকে সেনা সরিয়ে নিতে হবে। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের এই টানাপড়েনের মাঝেই মলদ্বীপের ঘনিষ্ঠ হচ্ছে চিন।

Maldives China India-Maldives Ship
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy