Advertisement
E-Paper

জ্বালানির দাম বাড়ায় ফুঁসছে প্যারিস, জরুরি অবস্থা জারির সম্ভাবনা

গত এক দশকে কোনও বিক্ষোভে এতটা উত্তাল হয়ে ওঠেনি প্যারিস। পরিস্থিতি সামলাতে জরুরি অবস্থা জারির কথা ভাবা হচ্ছে, জানিয়েছেন ফরাসি সরকারের মুখপাত্র বেঞ্জামিন গ্রিভাঁ।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৯:০৬
বিক্ষোভে ফুঁসছে প্যারিস, শনিবার। ছবি- এএফপি।

বিক্ষোভে ফুঁসছে প্যারিস, শনিবার। ছবি- এএফপি।

জ্বালানির দাম বাড়ায় শনিবার থেকে তুমুল গণবিক্ষোভে ফুঁসছে প্যারিস। রাস্তায় রাস্তায় পোড়ানো হচ্ছে সরকারি যানবাহন। আগুন লাগানো হয়েছে সরকারি কার্যালয়ে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে প্যারিসের বহু রাস্তাঘাটই হয়ে পড়েছে কার্যত, রণক্ষেত্র।

গত এক দশকে কোনও বিক্ষোভে এতটা উত্তাল হয়ে ওঠেনি প্যারিস। পরিস্থিতি সামলাতে জরুরি অবস্থা জারির কথা ভাবা হচ্ছে, জানিয়েছেন ফরাসি সরকারের মুখপাত্র বেঞ্জামিন গ্রিভাঁ।

এই নিয়ে তিন সপ্তাহ হয়ে গেল। ক্ষোভের আঁচ কমা তো দূর, জ্বালানির দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদ আরও জোরালো হচ্ছে ফ্রান্সে। তিন সপ্তাহ আগে ফ্রান্সের গাড়ি চালকেরা যে ‘ইয়েলো ভেস্ট’ আন্দোলন শুরু করেছিলেন, তা ধীরে ধীরে গণ আন্দোলনের রূপ নিচ্ছে।

পুলিশ জানাচ্ছে, মধ্য প্যারিসের বহু এলাকা শনিবার সকাল থেকেই ফুঁসে ওঠে বিক্ষোভে। পুলি‌শ পরিস্থিতির মোকাবিলায় নামলে কুঠার হাতে মুখোশ পরে দলে দলে রাস্তায় নেমে পড়ে যুব সম্প্রদায়। একের পর এক সরকারি যানবাহন ও অফিসে আগুন লাগানো হয়।

আরও পড়ুন- প্যারিস আবার গণ আন্দোলনে

আরও পড়ুন- জানুয়ারি থেকে চিনা পণ্যে শুল্ক বাড়ছে না আমেরিকায়​

সরকারি সূত্রের খবর, পরিস্থিতি সামলাতে জরুরি অবস্থা জারি করা হবে কি না, তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্দান্ত নিতে রবিবার রাতেই প্রধানমন্ত্রী ও অভ্যন্তরীণ মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাকরঁ।

পুলিশ জানাচ্ছে, সঁজে লিজে চত্বরে অন্তত ১৫০০ বিক্ষোভকারী জমা হয়েছিলেন। গ্রেফতার হন ১০৭ জন। কেউ বা আগুন জ্বালিয়ে পরিস্থিতি আরও তাতিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। কালো হুডি পরা এক দল বিক্ষোভকারী কাঠ, প্লাইউডের টুকরো হাতে জড়ো হয়েছিলেন আর্ক দে ত্রিয়ম্ফের সামনে। স্লোগান দিতে দিতে কাঠ-কুটো জড়ো করে তাতে আগুন ধরিয়ে দেন তাঁরা। সঁজে লিজে-র পশ্চিম প্রান্তের বিশাল তোরণদ্বার প্যারিসের পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণ।

নভেম্বরের ১৭ তারিখ থেকেই প্যারিস-সহ ফ্রান্সের বিভিন্ন শহরে শুরু হয় বিক্ষোভ। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে তার ছবি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তেও সময় নেয়নি।

ফরাসি সরকারের একটি সূত্র জানাচ্ছে, বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথাও ভাবা হচ্ছে।

France Emergency PARIS ফ্রান্স
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy