রাষ্ট্রপুঞ্জে ভাষণরত প্রধানমন্ত্রী। ছবি: পিটিআই।
জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা করে লাভ নেই। ‘জলবায়ু সংক্রান্ত ন্যায়’ নিয়ে কথা হওয়া দরকার। বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় গোটা বিশ্বকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বার্তা, বিশ্ব উষ্ণায়নের মোকাবিলায় সংঘবদ্ধ হয়ে লড়তে গেলে বদলাতে হবে আন্তর্জাতিক চুক্তির পরিভাষা।
প্রধানমন্ত্রী এ দিন বলেন, “আমাদের জীবনের আরামকে সুরক্ষিত রাখার বাসনা থেকে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত আলোচনা জন্ম নেয়। কিন্তু, জলবায়ু সংক্রান্ত ন্যায় নিয়ে যদি আমরা কথা বলি, তা হলে জলবায়ু পরিবর্তনের জেরে সম্ভাব্য প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে পৃথিবীর দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে কী ভাবে রক্ষা করা যাবে, সে বিষয়ে আলোচনা করা সম্ভব।” ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ইঙ্গিত, ‘জলবায়ু সংক্রান্ত ন্যায়’-এর ধারণায় সাম্যের কথা রয়েছে। এই নতুন নীতিতে সব দেশ একই লক্ষ্যে কাজ করবে। কিন্তু, দায়িত্বের পরিমাণ সকলের জন্য আলাদা হবে।
লগ্নি চাইলে গতি আনুন সংস্কারে, বার্তা মোদীকে
বিদেশ মন্ত্রকের তরফে প্রধানমন্ত্রীর এই প্রস্তাবনার ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। কার্বন-ডাই-অক্সাইড-সহ গ্রিন হাউজ গ্যাসগুলির নির্গমনের জন্যই মূলত জলবায়ুতে পরিবর্তন আসছে। সেই নির্গমনের পরিমাণ সব দেশকেই মোটামুটি সম পরিমাণে কমানোর কথা জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তিপত্রে বলা হয়েছে। ভারতের বিদেশ মন্ত্রক এ দিন বলেছে, সব দেশ সমান হারে নির্গমণ কমাতে পারবে না। উন্নত দেশ এবং উন্নয়নশীল দেশগুলির মধ্যে এ বিষয়ে লক্ষ্যমাত্রার পার্থক্য থাকা জরুরি। কারণ ভারতের মতো দেশে গ্রিন হাউজ গ্যাসের মাথাপিছু নির্গমনের যা পরিমাণ, আমেরিকায় মাথাপিছু নির্গমনের পরিমাণ তার ঠিক ১০ গুণ। ভারতের প্রশ্ন, দুই দেশ একই হারে নির্গমণ কমাবে কী ভাবে? এই বিষয়ে উন্নত দেশগুলিকে বেশি দায়িত্ব নিতে হবে।
ডিসেম্বরে প্যারিসে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন হবে। সেখানেই আন্তর্জাতিক চুক্তিপত্র সই হওয়ার কথা। মোদীর এ দিনের ভাষণ স্পষ্ট করে দিল, প্যারিসের সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলায় উন্নত দেশগুলি বাকি সব দেশকে যে চুক্তিপত্রে সই করাতে চাইছে, চাপের মুখে নতি স্বীকার করে সেই চুক্তিতে ভারত সই করবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy