হঠাৎ করে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের রাজনৈতিক আশ্রয় কেড়ে নেওয়ার ব্যাপারে ইকুয়েডরের সিদ্ধান্ত নিয়ে শুরু হয়েছে নয়া টানাপড়েন। লন্ডনে ইকুয়েডরের দূতাবাসে টানা সাত বছর ছিলেন উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। বৃহস্পতিবার আচমকা তাঁকে গ্রেফতার করে লন্ডন পুলিশ। পরে জানা যায়, আমেরিকার কাছ থেকে প্রত্যর্পণের অনুরোধ পেয়েই সক্রিয় হয়েছে ব্রিটেনের প্রশাসন। অস্ট্রেলিয়া জানিয়ে দিয়েছে, তাদের নাগরিক বলে অ্যাসাঞ্জকে আলাদা কোনও খাতির করা হবে না। কিন্তু ইকুয়েডর এ ভাবে অ্যাসাঞ্জের মাথার উপর থেকে হাত তুলে নিল কেন?
এই সূত্রেই দাবি, দেশের নয়া প্রেসিডেন্ট লেনিন মোরেনোর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনতে গোপন ষড়যন্ত্রে শামিল হয়েছিলেন অ্যাসাঞ্জ। আর সেই জন্যই তড়িঘড়ি তাঁকে রাজনৈতিক আশ্রয় থেকে বঞ্চিত করা হল। এই সিদ্ধান্তের জন্য ইকুয়েডরের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট রাফাল করেয়া তীব্র সমালোচনা করেছেন মোরেনোর। তিনি কাল বলেছিলেন, ‘‘এই অপরাধ কেউ কোনও দিন ভুলবে না।’’
২০১২ সালে অ্যাসাঞ্জকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছিলেন এই করেয়াই। তখন তিনি ছিলেন প্রেসিডেন্টের পদে। আর করেয়ার চোখে অ্যাসাঞ্জ ছিলেন ‘নায়ক’— যিনি মার্কিন প্রশাসনের গুপ্ত নথি ফাঁস করার সাহস দেখিয়েছিলেন। মোরেনোকে গত কাল করেয়া তোপ দেগেছেন ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ বলেই ।