ছন্দে ফিরছে: বৃহস্পতিবার সাংহাইয়ের রাস্তায়। রয়টার্স
নোভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণে ত্রস্ত গোটা বিশ্ব। কোভিড-১৯–এর প্রতিষেধক আবিষ্কারে নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন গবেষকেরা। এই পরিস্থিতিতে চিনের উহানের এক করোনা-আক্রান্তই গবেষকদের ভরসা।
কোভিড-১৯ রোগ থেকে সেরে ওঠা এক রোগীর রক্তের নমুনা নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করছেন অস্ট্রেলিয়ার এক দল গবেষক। তাঁরা জানার চেষ্টা করছেন, ওই মহিলার শরীরের রোগ প্রতিরোধক শক্তি কী ভাবে করোনার মোকাবিলা করেছে।
অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের বাসিন্দা ৪৭ বছরের ওই মহিলা করোনা আক্রান্ত হওয়ার আগে উহানে গিয়েছিলেন। তবে তাঁর অবস্থা তেমন আশঙ্কাজনক ছিল না। তবু তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ১০ দিন পরে তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন। মেলবোর্নে ফেরার পর ওই মহিলার রক্তের নমুনা নিয়ে পরীক্ষা শুরু করেছেন গবেষকেরা। চার বার তাঁর রক্তের নমুনা পরীক্ষা করেছেন তাঁরা। গবেষকেরা দেখছেন, ওই রোগীর শ্বেত রক্তকণিকা কী ভাবে করোনাভাইরাসের মোকাবিলা করেছিল। এই গবেষণার খবর সম্প্রতি একটি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষকেরা জানিয়েছেন, ৪৭ বছর বয়সি ওই মহিলার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কী ধরনের তা জানার চেষ্টা হচ্ছে। তা জানা গেলে প্রতি পাঁচ জন রোগীর মধ্যে একজনের ক্ষেত্রে কোভিড-১৯-এর মোকাবিলা করা সহজ হবে।
চিন করোনা-সংক্রমণকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করতে পড়েছে। ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল। চিনের বেশ কিছু শহরে শুরু হয়েছে যান চলাচল, খুলছে কলকারখানা, রেস্তরাঁ। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চিনে নতুন করে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে। কমেছে মৃতের সংখ্যাও। স্বভাবতই ফের ছন্দে ফিরছে জনজীবন। তবে মাস্ক পরা, কোথাও প্রবেশের আগে তাপমাত্রা পরীক্ষার মতো সতর্কতামূলক ব্যবস্থা জারি রয়েছে। সম্প্রতি বেজিংয়ের একটি পার্কের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন ওয়্যাং হুইজিয়ান। তিনি বলেন, ‘‘মহামারির সময় প্রচণ্ড আতঙ্কে ছিলাম। এখন পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হয়েছে। তাই আনন্দ করছি। তবে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো সতর্কতা আমরা মেনে চলছি।’’
সচল হচ্ছে সাংহাইয়ের জনজীবন। খুলছে অফিস, কাফে, পর্যটন কেন্দ্রগুলি। ৫০ বছরের ঝাং মিং বলেন, ‘‘কাফেগুলিতে মানুষজন আসছেন। প্রদেশগুলির মধ্যে যাতায়াতের বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে।’’ সাংহাইয়ের শিল্পতালুকগুলির চিত্রও পাল্টাতে শুরু করেছে। ২০ মার্চের পরে আরও সংস্থার অফিসে খুলবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy