Advertisement
E-Paper

অতিমারি থামিয়ে দেবে চিনা ওষুধ!

প্রাণীর দেহে এটি প্রয়োগ করে ভাল ফল পাওয়া গিয়েছে বলে জানাচ্ছেন ওই প্রতিষ্ঠানের ডিরেক্টর সানি শিয়ে।

নিজস্ব প্রতিবেদন 

শেষ আপডেট: ২০ মে ২০২০ ০৩:৩৬
ছবি রয়টার্স।

ছবি রয়টার্স।

প্রতিষেধক পেতে এক-দেড় বছর লেগে যাবে। কিন্তু আগামী শীতের আগেই হয়তো নোভেল করোনাভাইরাসের হানাদারি রুখে দেওয়া যাবে ওষুধে। এমনটাই আশা করছেন চিনের বিজ্ঞানীরা। কোভিড-১৯ আক্রান্তের দেহে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডি থেকে একটি ওষুধ তৈরি করেছে বেজিংয়ের ‘অ্যাডভান্সড ইনোভেশন সেন্টার ফর জিনোমিক্স’। বিজ্ঞান পত্রিকা ‘সেল’-এ তাদের গবেষণার বিষয়টি প্রকাশিত হয়েছে।

প্রাণীর দেহে এটি প্রয়োগ করে ভাল ফল পাওয়া গিয়েছে বলে জানাচ্ছেন ওই প্রতিষ্ঠানের ডিরেক্টর সানি শিয়ে। তাঁর দাবি, “আক্রান্ত ইঁদুরের শরীরে ওই অ্যান্টিবডিগুলির ডোজ় দিতেই পাঁচ দিনে ভাইরাসের সংখ্যা ও ক্ষমতা অনেকটাই নেমে এসেছিল। যেটা বোঝায়, এর রোগ নিরাময়ের ক্ষমতা রয়েছে।” মনে করা হচ্ছে, এটি কোভিড-১৯ থেকে শুধু সারিয়ে তুলবে না, সেরে ওঠার সময়ও কমিয়ে আনবে। স্বল্প মেয়াদে হলেও করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতিরোধ ক্ষমতা জোগাতে পারবে।

শিয়ের বিজ্ঞানী দলটি কোভিড-১৯ থেকে সেরা ওঠা ৬০ জনের রক্ত থেকে অ্যান্টিবডি নিয়ে দিনরাত কাজ করছেন। মানুষের দেহে পরীক্ষার পরিকল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে চিনে রোগীর সংখ্যা কমে আসায় অস্ট্রেলিয়া ও অন্যান্য দেশে সেই পরীক্ষা করার কথা ভাবা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: অনুদান বন্ধই করে দেব, হু-কে হুমকি ট্রাম্পের

সেরে ওঠা রোগীর রক্তের প্লাজমা তথা রক্তরস যে অন্যদের সারিয়ে তুলতে সাহায্য করছে— ভারত-সহ বিভিন্ন দেশেই তার প্রমাণ মিলেছে। চিনেই ৭০০ জন রোগীকে প্লাজমা দিয়ে ভাল ফল পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সমস্যা হল জোগানের। রোগী কমে এলে প্লাজমাও মিলবে কম। কিন্তু রক্তে তৈরি হওয়া ১৪ ধরনের অ্যান্টিবডি দিয়ে যে ওষুধ শিয়েরা তৈরি করেছেন, সেটির ঢালাও উৎপাদন সম্ভব হবে। এবং চলতি বছরের মধ্যেই তা সম্ভব হতে পারে বলে আশা শিয়ের।

আরও পড়ুন: করোনার নতুন ভরকেন্দ্র কি ব্রাজিল

রোগ মোকাবিলায় অ্যান্টিবডির ব্যবহার অবশ্য নতুন বিষয় নয়। এচআইভি, ইবোলা, মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম তথা মার্স মোকাবিলায় এই চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করে সাফল্য মিলেছে। কোভিড-১৯ মোকাবিলাতেও এই সব রোগের ওষুধ প্রয়োগ করা হচ্ছে। যদিও ইবোলার ওষুধ রেমডেসেবিয়া কোভিড-১৯ থেকে নিরাময়ের সময় কমিয়ে আনতে সাহায্য করলেও মৃত্যুহার কমাতে পারছে না। খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সপ্তাহখানেক ধরে ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন নিলেও এর কার্যকারিতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন দূর হয়নি। আর বিশ্ব জুড়ে একশোরও বেশি সম্ভাব্য প্রতিষেধক নিয়ে কাজ চলছে। গোটা পাঁচেক মানুষের দেহে পরীক্ষার পর্বে রয়েছে। শিয়ের আশা, দৌড়ে তাঁরাই জিতে যেতে পারেন। কার্যকর কোনও প্রতিষেধক পাওয়ার আগেই হয়তো কোভিড-১৯ অতিমারিতে ইতি টানতে পারবে তাঁদের ওষুধ!

Coronavirus China Vaccine WHO
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy